পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१९ কেরাণী মেমোরিয়েল । য়ক বিধাতা মহাশয় এই ফুল বেঞ্চের,— এই অনরেবল ফুল বেঞ্চের আয়োজন করিয়াছেন। এক্ষণে এই গুৰুতর বিষয়ে আমার যাহা কিছু বক্তব্য আছে, প্রকাশ করিতেছি, আপনার অবছিত ছইয়া শ্ৰবণ কৰুন । 鑿 বঙ্গীয় কেরাণীগণের বর্তমান শোচনীয় অবস্থা দর্শনে কোন্‌ সহৃদয়ের হৃদয় না কাদিয়া উঠে ! পৃথিবীতে যদি কোন অবসর শুম্ভ ‘দুর্ভাগ্য জীব থাকে তবে সে বঙ্গীয় কেরাণী। ঘৰ্ম্মাক্ত কলেবরে অর্থে পার্জন করিয়াও যtছর अबकके मूत्व इज़ न,-नखानखलिएक মানুষ করিবার জন্য যাহার বিত্রত হইয়া বেড়াইতে হয়,—পরিবারের মোট ভাত, মোটা কাপড় জুটিয়া উঠা যাহার পক্ষে ভার হয়,—ঔষধ, পথ্য ও ডাক্তারের দশণী অভাবে যাহার পরিবারবর্গের রোগোপশম হয় না,—প্রতিবেশিনীর ন্যায় বস্ত্ৰালঙ্কার হইল না বলিয়া যাহার রমণী শত শত ধিক্কার দিতে থাকে,— এমন ব্যক্তি পৃথিবীতে কে আছে ? বঙ্গীয় কেরাণী । যদি একাধারে এই সকল ঘটনা পরম্পরার সন্ধাবেশ দেখিতে ইচ্ছা থাকে, তবে বঙ্গীয় কেরাণী বর্গের প্রতি দৃষ্টিক্ষেপ করিলেই ইচ্ছা ফলবর্তী ছইবে । বঙ্গীয় কেরাণীই ইচ্ছার প্রক্লষ্ট প্রমাণ। তাছারা পূৰ্ব্বজন্মার্জিত কোন মহাপাপের প্রতিফল ভোগ (জ্ঞানাকুর পেীঃ, ১২৮২ নাই । ইহা যে ঘোরতর মহাপাপের প্রতিফল তাহাতে আর সন্দেছ কি ? হা বঙ্গীয় কেরাণি ! তুমি যে কি পাপে বঙ্গে আসিয়া জন্ম পরিগ্রহ করিয়াছ তাছা বলিতে পারি না। দয়াদাক্ষিণ্য পূর্ণ উপস্থিত অমর বৃন্দের দীর্ঘনিশ্বাস, উন্নত লোচনা ও নিস্তব্ধতা নিবন্ধন ইহাই প্রতিপন্ন হইতেছে যে বঙ্গীয় কেরাণীগণ যথার্থই দুর্ভাগা বটে। ইছাদের দুর্ভাগ্যের কথা কি বলিব ? পূর্বে লোকে পাচ টাকা বেতন পাইয়াও বিবিধ সুখে কালযাপন করিয়াছেন, কিন্তু এখন মোটা মোট বেতনের কেরাণীগণ উদরামের জ্বালায় অস্থির । ইছাদের আহারের অবকাশ নাই, নিদ্রার অবকাশ নাই। প্রাতঃকালে উঠিয়াই স্বানের উদ্যোগ—ক্রমে স্নান, আছারের কথা কি-মাকে মুখে প্রদান মাত্র। পান প্রত্যছ ঘটে কি না সন্দেছ, অমনি আপিস অঞ্চলে দৌঁড়। অ।পিসে গমন করিয়৷ নানাবিধ ফর মাইস সরবরাহ করিতে হয় । তাহার উপর আবার গমেজ, পিক্রস, প্রভৃতি বাজেওয়ালার পদাঘাত, বুডিনিগর প্রভৃতি স্থধাময় সম্বোধন সম্ভ করিতে হয়। রাত্রে বাটী আসিবার সময় মুলতবি কাজের প্যাকেট বগলে করিয়া আনিতে ছয় । সমস্ত রাত্রি জাগিয়াও কাজের শেষ হয় না। এমন দুর্ভাগ্য জীব বোধ হয় নরলোকে আর