পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ9 অপৰ্য্যজাতির ভূৱত্তান্ত । ঋষিরা যে ও রূপ উৎপ্রেক্ষা বা রূপক বর্ণন করিবেন আশ্চর্য কি ?—উৎপ্রেক্ষণ বা রূপক বর্ণনায় ৰুচি হওয়া বা তাদৃশ বর্ণনায় শ্রোতৃবর্গের মনেমগ্ন হওয়া, এ সকল ভারতবর্ষের জল বায়ুর মহিমা । ভারতের প্রকৃতি যে সমধিক পরিবর্তিত হইয়াছে, তথাপি ও রূপ বর্ণন-ৰুচি অদ্যপি ভুরি পরি মাণে দৃষ্ট হয়। অথবা পুরাণের ও রূপ অংশ সকল মিথ্যা । একথায় আপততঃ অনেকের অসন্তোষ জন্মিতে পারে, কিন্তু উহা আমাদের উদ্ভাবিত কথা নহে । পুরাণ-লেখক ব্যাস দেব স্বয়ং বলিয়াছেন “পুরাণের উপকথাংশ অনেক মিথ্যা । ” যথা—

  • কথা ইমাস্তে কfথতামহীয়সীং ছিতায় লোকেষু যশঃপরেযুযtং ! বিজ্ঞান বৈরাগ্যবিবক্ষয় নিভোঃ বচোবিভূতির্ণব পারমার্থীম।”

(ভাগবত ১১ ক্ষন্দ) শুকদেব পরীক্ষিৎকে বলিতেছেন, “মহারাজ ! আমি তোমার নিকট পরলোকগত যে সকল মহন্ধ্যক্তির কথা প্রসঙ্গে যে নানা বিচিত্র কথা বলিলাম, তাছা কেবল জ্ঞান ও বৈরাগ্য উৎপাদন নিমিত্তই বলিলাম, জ্ঞান ও বৈরাগ্যাদির উপদেশ অংশ ব্যতীত অন্য বিস্তৃতাংশ যে সমস্তই সত্য তাছা মনে করিবেন না।: (জ্ঞানাকুর পেীঃ, ১২৮২ যদ্যপি ভাগবতের কথায় তাদৃশ শ্রদ্ধা না হয়, তবে মহর্ষি জৈমিনির কথায় মনোযোগ কর। জৈমিনি বেদবাক্য সকলের যথাশ্রত অর্থজাতের সত্যাসত্য নিৰ্দ্ধারণ কালে বলিয়াছেন “বিরোধে গুণবাদং স্যাৎ ।’ (মীমাং সা স্থত্র) প্রত্যক্ষ বা যুক্তিবিৰুদ্ধ বেদাংশ গুলি গুণবাদ অর্থাৎ উপদিষ্ট বিয য়ের প্রশংসা বা নিমদণবচন মাত্র । মীমাংসকাচাৰ্য্য ভট্ট কুমারিল স্বামীও বলিয়াছেন, “বিরোধে গুণবাদ স্যfদমুবাদেব ধরিতে । ভূতাৰ্থবাদ গুদ্ধানাদর্থবfদন্ত্রিধামতঃ ” শাস্ত্রীয় বাক্য, সকল দুই শ্রেণী ভুক্ত। বিধি ও অর্থবাদ । উপদেশত্মকবাক্যের নাম বিধি ; আর, বিধির প্রশংসা বা নিষেধের নিন্দ প্রতিপদক অংশের নাম অর্থবাদ। এই অর্থবাদ আবার ত্রিবিধ। গুণবাদ, অনুবাদ ও ভূভার্থবাদ। প্রত্যক্ষ বা যুক্তিবিৰুদ্ধ হইলে ভtহা গুণবাদ অর্থাৎ ভদ্বারা কেবল বিহিত বিষয়ের প্রশংসা করা হয় এই মাত্র বুঝিতে হইবে। প্রমাণান্তরে অবধারিত বিষয় ঘটিত হইলে তাহা অনুবাদ । যাহার অবধারক প্রমাণ উপস্থিত নাই, অথচ প্রত্যক্ষ বা যুক্তি বিৰুদ্ধ নছে, তাছা ভূতাৰ্থবাদ নামে প্রসিদ্ধ। এই ভুতার্থবাদ নিৰ্ম্মিত অণখ্যায়িকা বস্তু নির্ণয়ই সত্য, ভভিন্ন অসত্য । অতএব ঋষিরা যখন প্রমাণ