পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্য্যজাতির ভূরত্তান্ত مراه পাতালতল মারভ্য সঙ্গৰ্মণ মুখানলঃ । দছন্ন-দ্ধশিখে বিশ্বং বৰ্দ্ধতে বায়ুনেরিতঃ । সম্বর্তকে মেষগণে বর্ষতিস্ম শতং সমাঃ । ধারাভি হস্তিষ্কস্তাভি লীয়তে সলিলে বিরাটg" ( ইত্যাদি ভাগবতে দেখ ) অর্থ এই যে, প্রলয়ের প্রারম্ভে পৃথিবীতে প্রথমতঃ শত বৎসরব্যাপিনী অনাবৃষ্টি হইবে । অনন্তর আদিত্য অতি উষ্ণ কিরণ বিস্তার করত লোকত্ৰয় সন্তপ্ত করিবেন। তৎপরে পৃথিবীর অধস্তল হইভে সঙ্গর্ষণের (প্রলয় কারী ঈশ্বর) মুখনিল সমুথিত বায়ু দ্বারা সৰ্ব্বত্র প্রস্থত স্বীয় শিখাছায়া সমুদায় পৃথিবী দগ্ধ করবে। পরিশেষে প্রলয় কারক মেঘ জলে সমুদ্রিত হইয়া করিকরণকার জল ধারা বর্ষণ করত এই ব্রহ্মাওকে জল মগ্ন করিবে । এইরূপ প্রলয় অনেকবার হইয়াছে এবং ভবিষ্যতেও হুইবে । (কোন মতে বর্ণিত আছে যে সমুদ্র উচ্ছলিত হইয়া পৃথিবীকে জলমগ্ন করে । ) মহাভারতের বনপর্বে অপর এক প্ৰলয় বর্ণন আছে, তাহাও প্রায় এই 布叶目 畿 ইয়ুরোপীয় ভুতত্ববেত্তারা আরও এক কথা বলেন। “উক্ত চতুৰ্ব্বিধ স্তর ভিন্ন অগ্নি দগ্ধ প্রস্তর খণ্ডও অভ্যন্তরে অনেক আছে। তৎসমুহকে আগ্নেয় প্রস্তর বলিয়া থাকেন।” ফলতঃ ইহাও আর্যশাস্ত্রের বডুিত নির্ণয় নহে। (জ্ঞানাকুৰ পৌঃ, ১২৮২ পৃথিবীর অভ্যন্তরে বিবিধ ধাতু থাকার কথা পৃথুরাজার পৃথিবীদোহন প্রস্তাবে আছে। উষ্মতা দ্বারা ভূমির অভ্যস্তরস্থিত মৃত্তিক বিরুত হইয়া বিবিধ ধাতুর আকার প্রাপ্ত হয় ; ইহা দাশনিকদিগের মধ্যে বিজ্ঞাত অাছে । আগম শাস্ত্রে এই বিষয়টি বিশেষ রূপে ব্যক্ত অাছে। যথা – “ভূমেরন্তর্গতে দেবি ! তেজোখস্থ খলনৈঃ । বিকুৰ্ব্বপ্তিঃ গ্রজtয়স্তে বস্থবো ধাতব শিরেঃ ॥ তৈয়েৰ চালাতে ভূমিরূৰ্দ্ধমুংক্ষিপ্যতে কচিৎ। উৎপদ্যন্তে মহাসারা ভূধরাঃ কাপি স্বত্রণ্ডে!” (ব্রহ্মযামল ।) অর্থাৎ হে দেবি ! অস্তু গত পার্থিব তেজঃ জল ও বায়ু, ইছারা মৃত্তিকাকে বিকৃত করিয়া বিবিধ ধাতু উৎপন্ন করে। তন্দ্বারাই পৃথিবী কখন পরিচালিতা, কথন বা উৰ্দ্ধে উৎক্ষিপ্ত হন এবং কোন স্থান হইতে মহাসার পৰ্ব্বত সকল উৎপাদন করেন । আর্য্যজাতির এই আগম বার্তা স্বারা ভূকম্পের পুঙ্কল কারণও সুব্যক্ত হইতেছে । এ পর্যন্ত যে কিছু বলা হুইল, ভদ্বারা পৃথিবীর উপাদান, সংস্থান, প্রকৃতি, শক্তি ও তদন্তৰ্গত পরিচয় প্রকাশ হইল । এক্ষণে তদীয় আকার প্রকার, পরিমাণ ও জল স্থল বিতাগের প্রতি মনোনিবেশ কৰুন । ক্রমশঃ ।