পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br8 জন্তু প্রভৃতির উৎপত্তি, স্থিতি, ও বিমাশ বিষয়ক প্রমাণ সমূহ বহন করিতেছে। * এই সকল স্তরমধ্যে, বিবিধ সময়াগত পৃথিবীস্থ উদ্ভিদ ও প্রাণী সমস্তের দেহাবশেষ অবিকৃত ভাবে ' পরিরক্ষিত রছিয়াছে । আনষ্টেড স্বপ্রণীত ভূতত্ত্ব বিজ্ঞান গ্রন্থে লিখিয়াছেন যে, “ প্রাণী ও উদ্ভিদ সমস্তের অবশেষ যে কত প্রকার ও তাহার সংখ্যা যে কত তাহা নির্ণয় করা দুর্ঘট । কখন ব। কঠিন প্রস্তর-স্তরের মধ্যে অতি কোমল, অতি রমণীয় কোন জীব দেহ অবিকৃত ভাবে রহিয়াছে দেখিতে পাওয়া যায়। কখন বা কোন জীবের দন্তু অস্থি প্রভৃতি অবিকল স্বাভাবিক ভাবে দৃষ্ট হইয়া থাকে। জীবের চৰ্ম্ম, চক্ষু এমন কি ভ্রমণ কালে কদমোপরি তাহার যে পদ চিহ্ন নিপতিত হইয়াছে, এবং তাহার পাকস্থলীস্থ খাদ্য যেরূপ ভাবে জীর্ণ হুইতেছে, ও তাহার অসার অংশ যে রূপে উদরের অন্যত্র রছিয়াছে, তৎসমস্ত অবিকল দেখিতে পওয়া যায় ; বোধ হয় যেন কয়েক হোরা পূৰ্ব্বে মৃত্যু তাছার জীবনের বিনাশ সাধন করিয়াছে । মৎস্য দেহের এমন অবশেষ দেখিতে পাওয়া যায় যে তাহার একখানি অস্থি, একটা কাটাও স্থানভ্রষ্ট হয় নাই ; আবার সেই স্তরে সেই জাতীয় জীবের কেবল মাত্র ভূতত্ত্বরহস্য (জ্ঞামাকু বা পোঃ, ১২৮২ বহিঃকঙ্কাল ও অসংলগ্ন অস্থি দৃষ্টিগোচর হয় । পতঙ্গ,—এমন কি তাহার পক্ষস্থিত ক্ষুদ্র শিরা সকল প্রস্তরে অঙ্কিত রছিয়াছে দেখিতে পাওয়া যায়। শম্বুকাদির আকৃতি ও বণ পৰ্য্যন্ত অবিকল পরিরক্ষিত রছিয়াছে প্রায়ই দেখিতে পাওয়া ষায় । অামাদের ভ্রান্তিমূলক কুসংস্কার আছে যে, জগতের সকলই মনুষ্যের সন্তোঘসাধনর্থ জাত, সেই মনুষ্য যখন জন্ম পরিগ্রহ করে নাই তখনও পৃথিবীস্থ জীববৃন্দ নয়ন-মন-রঞ্জন বর্ণে পরিশোভিত ছিল ।” স্তর মধ্যস্থ এবম্বিধ দেহাবশেষ সকল ভূতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতের সিদ্ধান্ত সমূহের অকাট্য যুক্তি । অতি প্রাচীন কালে, যখন আবরণ প্রস্তরের প্রথম দশা, তখন পৃথিবীতে প্রাণী ও উদ্ভিদ ছিল না। প্রথম স্তর মধ্যে কোন জীব দেহাবশেষ বা উদ্ভিদ অবশেষ দেখিতে পাওয়া যায় না । অতএব নিঃসংশয়ে প্রতিপন্ন হুইয়াছে যে, প্রথমে পৃথিবীতে প্রাণী ও উদ্ভিদ হৃষ্ট হয় নাই। এই বিশাল "মহানৃ মেদিনী তৎকালে প্রাণী শূন্য ছিল । ভৌতিক যাবতীয় কাৰ্য্য তখনও অব্যাঘাতে চলিত। এখনও পৃথিবীর যে সকল স্বাভাবিক শক্তি আছে তখনও তাহাই ছিল, কিন্তু তখন পৃথিবীতে জীব ও উদ্ভিদ ছিল না। তখনকার দুৰ্ব্বিসহ আতপ তাপে ক্লান্ত