জ্ঞানাকুর পেীঃ, ১২৮২) অ1মশর পত্র অামি দেখিব, ইহাতে তোমার অণপত্তি কি ? ? বিমলা নললেন ।
- তোমারই পত্র বটে। কিন্তু আর ভোমণকে পত্র দিবার প্রয়োজন নাই।’
যোগেশ হাসিয়া বলিলেন,— “কিন্তু পত্র যদি না দেও তবে উছার মধ্যে মৰ্ম্ম আমাকে বল ।” বিমলা ক্ষণেক চিন্তু করিলেন ; বুঝিলেন একান্তে বসিয়া যাহা লিথিয়াছেন, তাহা ব্যক্ত করা বা যাহার উদেশে তাহা লিখিত হইয়াছে, তাহtকেই তাহা পাঠ করিতে দেওয়া উভয়ই র্তণ হার পক্ষে অসম্ভব । র্তাহার অন্তরে যেন কত যাতন উপস্থিত হইতে লাগিল । কেন এরূপ হইল, কে জানে । - তিনি যেন হৃদয়স্থিত অনিবাৰ্য্য মনঃক্ষেণভ কথঞ্চিৎ সংবরণ করিয়া কছিলেন, ٢یبعیي পত্রে যাহা অাছে তাছার তোমার জানিয়া কাজ নাই ।” 敬 尊 ‘যোগেশ বুঝিতে পারিলেন বিমলা বাক্য সমাপনের পর একটা অনতি দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিলেন। ষোগেশ দেখিলেন বিমলার মুখের ভাব অন্য রূপ । লজ্জার সহিত তাহার বদনে দারুণ বিষাদের চিহ্ন মিশ্রিত হইয়াছে । প্রণয়ীর হৃদয়ে এ ডার জাঘাত ক ১২ বিমল । যাহা লিখিয় তাহার ; trసి রিল । যোগেশ বলিলেন — ঐ “বিমলে ! পত্রের কথায় যদি তোমার হৃদয়ে কোন রূপ ক্লেশ উৎপাদন করিয়া থাকি, তবে ক্রট স্বীকার করিতেছি । যাহাতে তোমার অন্তরে কষ্ট জন্মে এরূপ কাৰ্য সম্পাদন করা আমার উদ্দেশ্য নছে। স্থির বিশ্বাস আছে এ জীবনে কখন সেরূপ মতি হইবে না। যদি পত্র দেখাইতে কোন আপত্তি থাকে, তাহ হইলে আর কখন এ মুখ হইতে, ও কথার উত্থাপনও শুনিতে পাইবে না । জিজ্ঞাসা করি— কোন আপত্তি আছে কি ?” বিমলা নিৰ্ব্বিগ্ন ভাবে কছিলেন;– “ অতি সামান্য কথায় তুমি দুঃখিত হইও না । পত্র তোমার উদ্দেশেই লিখিত—তা তুমি দেখিবে— ত- _2? বিমলা আর বলিলেন না । ষেণগেশ বুঝিলেন স্ত্রী স্বভাব সুলভ, বিশেষ বিমলার ন্যায় রমণী চরিত্রগত, লজ্জা ভিন্ন অন্য আপত্তি কিছুই নাই। বিমলা উহাকেই পত্র লিখিয়াছেন, কিন্তু তাহাকে তাহা দেখাইতে বা তাহার নিকট তাছার মৰ্ম্মোদঘাটন করিতে অস্বীকার কেন, যোগেশ ভারিয়া স্থির করিতে পারিলেন না । কেবল লজ্জাই কি ইহার করণ ? না, আর কিছু আছে। বিষল৷ তাছাকে কি লিখিয়াছেন ? ভাবি
