ভূমিকা।
এত দিনের পর, প্রখ্যাত বীরাঙ্গনা মহারাণী লক্ষ্মীবাইর একটী প্রামণিক ও আনুপূর্ব্বিক জীবন-বৃত্তান্ত[১] প্রকাশিত হওয়ায়, আমাদের একটী জাতীয় অভাব মোচন হইল। গ্রন্থটী মহারাষ্ট্রীয় ভাষায় লিখিত। গ্রন্থকার মহারাণীর জীবনবৃত্তান্ত-সম্বন্ধে, ইংরাজী গ্রন্থ, দেশীয় গ্রন্থ, সরকারী কাগজপত্রাদি যেখানে যা কিছু জ্ঞাতব্য বার্ত্তা পাইয়াছেন তৎসমুদয় তন্নতন্নরূপে বিচার করিয়া, স্থানীয় কিম্বদন্তী হইতে, ও যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত রাণীর অনুচরবর্গ ও আত্মীয় স্বজনের কথিত বিবরণ হইতে, সমস্ত তথ্য স্বাধীনভাবে সংগ্রহ করিয়া এবং ঘটনাস্থলগুলি স্বয়ং পরিদর্শন করিয়া, অতীব নিরপেক্ষভাবে ও প্রভূত শ্রমসহকারে এই গ্রন্থখানি প্রণয়ন করিয়াছেন। বিশেষতঃ রাণীর সপত্নী-মাতা চিমাবাই ও রাণীর দত্তকপুত্র দামোদর-রাও―ইঁহাদের নিকট হইতে গ্রন্থকার যে বৃত্তান্ত সংগ্রহ করিয়াছেন, তাহাতে এই ইতিহাসের প্রমাণ-বল আরও দৃঢ়ীভূত ও ইহার মূল্য অনেক পরিমাণে বর্দ্ধিত হইয়াছে। আমি এই গ্রন্থ হইতে সঙ্কলন করিয়া রাণীর জীবনের মূল ঘটনাগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ পাঠকবৃন্দের নিকট সাদরে অর্পণ করিলাম।
- ↑ “ঝাঁশী সংস্থান মহারাণী লক্ষ্মীবাই সাহেব হ্যাঁচে চরিত্র”—দত্তাত্রয় বলবন্ত পারস-নীস প্রণীত।