পাতা:টমাস বাটার আত্মজীবনী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 छैत्राण बाझैत्र आजडाशैवमगै মোটের উপর ব্যবসার সব দিকে বিশেষত মাল তৈরি ও মাল কাটানোর দিকটাতে সতক দহ্মিন্ট থাকত সবাদা---এসব করেও আমি সম্প্ৰস্তাহের মধ্যে শনিবার ছাড়া অন্য দিনে কারখানার কাজে হাত দিতে পারতাম। আমার হিসেবের খাতা অনযায়ী আমার জমার ঘরে কোন বড় অঞ্চক ছিল না বটে। কিন্তু আমার মনের মধ্যে বিশদ্বাস জন্মেছিল যে ব্যবসা ক্রমশ উন্নতির পথে চলবে, এবং এমন দিন 'ফুল'বও নয়, বেদিন পাওনাদারের বিভীষিকা অতীত সমিতিতে পর্যবসিত হবে এবং আমার অধিকার জন্মাবে। যে কোন লোকের সামনাসামনি সমদক্ষ হয়ে দাঁড়াবার। ১৮৯৬ সালের মাঝামাঝি আমার এই বহদিনের অভীপিসত স্বাধীনতা হাতের মাঠোর মধ্যে যখন পেয়েছি, তখন হঠাৎ একদিন আমার এক ভিয়েনাস্থিত মহাজনের আর্থিক সবর্ণনাশের কথা শোনা গেল। প্রথম দিনটা এ কথায় আমি কান দিই নি, কেবল বাবার কথা মনে পড়ে দঃখ হ’ল, তিনি আমাব ভাইয়ের মত এই ফামের কাছে অনেক হ্যান্ডনোটি লিখেচেন কাঁচামালের জন্য। এই ফামের কাছে আমার দেনা এক পয়সাও ছিল না। একদিন আমার ভাই বল্পে এই ফামের নামে কিছু হ্যান্ডনোট সই করে দিতে। মেয়াদ উতীৰ্ণ হ'লে বিলের টাকা তারা নিজেরাই শোধ করে নেবে। আমি বারণ করলাম। এ রকম বিল সই করতে, বিশেষ করে যখন এ ফ্যামের কাছে আমরা किछ: निई ना। পরদিন আমার ভাইয়ের নিকট থেকে এক চিঠি এল । তাতে সে লিখেচে আমার বারণ সত্বেও তাকে বল সই করতে হ’ল, কারণ সই ফামের অংশীদারেরা তাকে পীড়াপীড়ি করচে, আমার বাবাকে তারা বিপদের সময় কত দয়া করেচে। সে সবের দীঘ ফিরিসিত দাখিল করেচে এবং একথাও ভাইকে বলেচে যে ব্যাপারটা গোপনীয় রাখলেই হবে। মিঃ টমাসের (অর্থাৎ আমার) কানে কথাটা ওঠাবার দরকার কি ? পত্রের শেষে আমার ভাই স্বীকার করেচে। যে বিশ হাজার ফ্লোরিন মল্যের বিল তাকে সই করতে হয়েচে । AV ভয়ে আমার অন্তরাত্মা উড়ে গেল। সবৰ্ণনাশ একেবারে সামনে, কল্পনাচক্ষে পাপমটি দেখলাম আদালতের পেয়াদা দোরে এসে ধাক্কা দিচ্চে। দেয়ালের গায়ে সাইকেলখানা হেলান ছিল, সেখানা বের করে আমি উধৰ্ব্বশবাসে হাদিস্ত-এর দিকে ছােটলাম। পথের লোকজন অবাক হয়ে আমার দিকে চাইতে লাগল, তাতে আমার মনে পড়ল টুপি মাথায় না দিয়েই পথে বেরিয়ে পড়েচি। সেকালে এধরণের ব্যবহার খোপামির চড়ান্ত বলে গণ্য হাত-সতরাং বাড়ি ফিরে টুপিটা নিয়ে এলাম। সেখানে পৌছে তখনি এর্টনির বাড়ি গিয়ে তাকে আমাদের দদশার কথা খালে বলি। রাত্রের খাবার না খেয়ে আলো না জেলে সারারাত টেবিলের দ’পাশে দ’জন বসে চিন্তা করতে লাগলাম। সেই রাত্রের ট্রেনেই ভিয়েনা রওনা হই। আইনানসারে হ্যান্ডনেটের টাকা যে আমি পরিশোধ করতে বাধ্য এ আমি ভালই জানি। এই বিলের পরিবতে আমরা লাভবান হইনি। একথা আইনে খাটবে না। ফামের কাছে এ দাবি হয়তো খাটতে পারত, কিন্তু এ বিল যারা তাদের কাছ থেকে কিনবে, তারা একথা শািনবে না। তাদের টাকা শোধ করে দিতেই হবে-আমরা আমাদের টাকা দেউলে ফামের কাছে বলে আদায় করবার চেষ্টা করতে পারি। আইনের একটি ধারা অনসারে সমর বিভাগে নিয়োজিত কোন সৈনিকের সই করা বিল আইনত অসিদ্ধ, কিন্তু দেখতে হবে এই ফামের মালিক আমার ভাই, তারই নামে লাইসেন্স নিয়ে शाभ' tभाव्ना शांछिल।