পাতা:টমাস বাটার আত্মজীবনী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

हैयाण बाज जाहचौबम NA আমি সে সময় উগ্রসমাজতান্ত্ৰিক মত পোষণ করতাম, তার সঙ্গে কমিউনিজম-এর একটু ছোঁয়াচ ছিল।. বৰ্তমান সময়ের ধনতান্ত্রিক সমাজ 'শধ সাবাথাম্বেষী দশষ্ট লোকদের উপযোগী—সে সমাজের একদিকে শোষণকারীর দল, অন্যদিকে অলসের ভিড়। টলসটয়ের প্রচারিত সরল জীবনযাপন প্রণালী হয়ে দাঁড়াল আমার জীবনের সর্বপন । আমার দৈনিক চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াল, যেদিন আমার সমস্ত ঋণ শোধ হয়ে যাবে এবং আমি নিজে দােপয়সা উপাজন করতে পারব-একটু জমি নিয়ে চাষবাস করব, নিজের পরিবারের প্রয়োজনীয় সব জিনিসই চাষ থেকে উৎপন্ন হবে। আমার মতে কৃষকদের দাসত্ব শঙ্খলে বাঁধবার জন্যেই সহরগলির সম্মিট এবং মজরদের ক্রীতদাস করে রাখবার জন্যে কারখানাগলির সম্মিট-পাঁজিবাদীরা সমগ্র সমাজের হাড়ভাঙ্গা খাটুনীর দ্বারা নিজেরা উপকৃত হচে । যদি আমার কোন কোদাল বা কৃষির যন্তের প্রয়োজন হয় তবে ফরাসী ঔপন্যাসিক জোলার "টয়েল” পশতকের নির্দেশানাযায়ী সেটা কমিউনিস্ট বা সোস্যালিস্ট কারখানায় তৈরি হওয়া উচিত। নানারকম চিন্তা করতে করতে ট্রেনে চলেচি, জামানী থেকে ফিরবার পথে। রেলগাড়ির জানালা দিয়ে রাইন নদীর তীরবতী অপরােপ ভূমিভাগ তার সৌন্দৰ্য্যময় দশ্যপট আমার চোখের সামনে উন্মত্ত করে দিয়েচে, যে দিকে চাই শােধ কলকারখানা, ৩ার মধ্যে অনেকগলো বড় বড় জাতের কারখানা। চারিধারে মজন্ম ৩ করে তৈরী শাসভবন, একটি সবাস্থোতজবল, উন্নতিশীল জাতির কর্মরত। হস্তের চিহে সবত্র বিদ্যমান। লাইন নদীর বক্ষে বড় বড় সন্টীম-ল'gগলি মাল বোঝাই বজরা টেনে নিয়ে চলেচে, আমি মনে ভাবছিলাম জীবনযাত্রার কত ধাবণের উপকরণ ওরা বইচে। এই অসীম ঐশ্ববিষ ও প্রগতির মহলে আছে ঐ ইস্পাতের দৈত্যাগলির শক্তি, যারা মানষের আদেশে সভ্য ও প্রগতিশীল জীবনযাত্রার উপকরণ চোখের নিমেষে যোগাচ্চে । রাইন বক্ষের জাহাজগালি সমদ্রাভিমখে বহন কবে চলেচে সেই সব দ্রব্যের বাড়তি অংশ, দেশের অধিবাসিবগের তাবৎ অভাব মিটিয়ে যা উদ্বও রয়েছে - বিদেশের সেই সব দ্রব্যের সঙ্গে ওদের বিনিময় ঘটবে, যা এদেশে পাওয়া যায না। সাতপাকার দ্রব্যজাত প্রত্যেক জাহাজের খোলে সঞ্চিত, আর সেই জাহাজের সারি চলেচে রাইন নদী বেয়ে মন্ত সমদ্রের পানে। তখনই সেই রেলগাড়িতে বসে আমার পিতার ভবিষ্যদবাণী মনে পড়ল কারখানার চিমনি সম্পািকলোধ-- আমি যেন দেখতে পেলাম বড় বড় কারখানার ইস্যুপাতের যন্ত্ৰ-দৈত্য-র মধ্যে আমি দাঁড়িয়ে, আমার আদেশে তাদের প্রত্যেকটি অদিদষ্ট কম সম্পন্ন করা চলেচে, আমি তাদের উৎসাহিত করাচি পরিশ্রমের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়তে! কিন্তু আমার মধ্যের সোস্যালিস্ট মাথা চাড়া দিয়ে উঠে ধনতাত্রিক মনোভাব তখনই দাির করে দিলে, আমার বর্তমান মনোভাবকে পাঁজিবাদী ও ক্রীতদাসের মালিকের মনোভাব বলে নিন্দা করলে। না, আমি ঘণিত ধনতান্ত্রিক হতে চাই না, সামান্য কিছু আয় করে আমায় চাষের জমি কিনতে হবে, চাষবাস कदूठ क्षय। কিন্তু সোস্যালিস্টকে তাড়ালেন আমার খড়োমহাশয় এবং আমার কারখানার অগণিত মাজারেরা। তাদের সঙ্গে মেলামেশা করতাম এবং প্রতিদিনের সামান্য অথচ বিধিবদ্ধ উপাজািন তাদের ক্ষদ গহ গলিতে যে শ্ৰীছাঁদ এবং পারিপাট্য আনয়ন করেচে। তা লক্ষ্য করতাম। O