পাতা:টমাস বাটার আত্মজীবনী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SÒ छैवान बाछैद्र चापाछौंदनौं আফিসের মোটা বেতনের কমচারীর পত্র নিবন্ধকারভাগে; রাস্তায় দাঁড়িয়ে সংবাদপত্র বিক্ৰী করাচে, অনেক সময় লক্ষপতির পত্রও। খোলার ঘরের ভাড়াটের ছেলের একচেটে নয় এ কাজটা। সেখীন চালচলনের ভদ্রলোক ছাত্র রাস্তাঘাটে চোখেই পড়ে না। সব লোকের সার্টের আস্তিন গটানো এবং সদা প্রফুল্লমখে কমঠ ব্যক্তির হাস্য। ছেলের স্পষস দু' বছর। হ’লেই সে নিজের উপাঞ্জন নিজে করে নেবার অধিকারী হয় এবং সে যে কাজে নামবে, তার মতই চরম বলে মেনে নেওয়া হয়। এই স্বাধীনতা বাল্যকাল থেকেই শিক্ষা দেওয়া হয় বলে সে নিজের পায়ে দাঁড়াতে শেখে, বাল্যকাল থেকেই আলস্যের প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। তার পিতার ঐশবষ তার স্বাধীন বিকাশের পথে বাধা সন্টি করে না, প্রথম থেকেই দেশের যে কোন নাগরিকের সমকক্ষ। অামি ব্যবসাদার, তুমিও ব্যবসাদার, আমাদের পরস্পরের ব্যক্তিত্বের উৎকৰ্য নির্ভর করবে। আমরা ব্যবসায়ে কি রকম উন্নতি করতে পারি। তার ওপর। পিতার মাখে আনন্দের হাসি দেখা দেয় যখন ছেলে যে কোন উপায়েই হোক একটি ডলার যেদিন উপাজন করে ঘরে আনে, পত্রও তার নিজের উপাজনে গৌরব অনভব করে। প্রত্যেক পরিবারগত এই মনোভাব সমগ্র জাতির মধ্যে সঞ্চারিত হয়ে আছে। মিঃ মাইলস একদিন তাঁর প্রতিদ্বন্দবীর কারখানা দেখিয়ে আমায় বললেন—“ভেবে দেখা লোকটা কেমন তুখোড়; এত টাকা রোজগার করে যে প্রতি বছরে ট্রেজারিতে দশ লক্ষ ডলার ট্যাক্স দিয়ে থাকে ৷” ঐ উন্তির মম আরও ভাল করে বোঝা যাবে একথা জানলে যে এই মিঃ মাইলসের নিজের ব্যবসায়ে লাভের চেয়ে ক্ষতির অঙ্ক ছিল অনেক বেশি এবং দেনায় তিনি ক্রমশ ডুবে যাচ্ছিলেন। তবও তিনি পাশের কারখানার প্রতিদ্বন্দৰী ব্যবসায়ীর সাফল্যে ঈযান্বিত তো ছিলেনই না। বরং আনন্দিতই হয়েছিলেন, অর্থ উপাজনের ও ঐশবয সঞ্চায়ের ন্যায্য অধিকার যে প্রত্যেকেরই আছে, এ সম্পবন্ধে কোন মাকিনি নাগরিক বিরাদ্ধমত পোষণ করে না। এ ধরণের সন্দেহ আমাদের দেশের সমাজে অন্তঃসলিলা ফলগরে মত বিদ্যমান ছিল, এর মলে ছিল পরাতন সকেলাভোনিক আইন, যাকে দরি করতে রোমান আইনের যথেস্ট বেগ পেতে হয়েছিল। সকেলাভোনিক আইনানসারে প্রত্যেকে তার পরিশ্রমলব্ধ শস্য সাধারণ শস্য ভান্ডাবে জমা করতে বাধ্য ছিল। সাধারণ শস্যভান্ডার থেকে জনৈক গ্রামবদ্ধ প্রত্যেক পরিবারের উপযোগী শস্য বণ্টন করে দিতেন, পরিবারের মর্যাদা বা গণের উপর এর পরিমাণ নিভাির করতো না, বরং গ্রামবন্ধের খেয়াল-খাঁশি বা বিবেচনার উপর নিভাির করত। অনেকখানি। এই হচ্চে পর্যাতন পারিবারিক সমাজতন্ত্র। এই নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধা আমাদের অন্তরে অন্তরে বিদ্যমান, এই শ্রদ্ধা জাগ্ৰত রেখেছিল রশীয় লেখকদের রচনা, বিশেষত টলস্টয়ের। এই উদ্বারা মাটি কাল মাকাসে প্রবর্তিত নব্যসমাজতন্ত্রবাদের উদ্ভব ও পরিবধানের সহায়ক ছিল। কাল মাকাসের নব্যসমাজতন্ত্রবাদ পরাতন সকেলাভোনিক সমাজতন্ত্রেরই বিস্তৃতত্ত্ব সংস্করণ মাত্র । যন্ত্রপাতি ও কম শঙ্খিলা সম্পবন্ধে কোন নতুনতর ব্যাপার। আমি আমেরিকায় লক্ষ্য করি নি। এ ব্যাপারে। আমার বিসময়ের কারণ ছিল না, কারণ মাকিন যন্ত্র নিমাতাদের বড় বড় ফামের সঙ্গে চিঠিপত্রে লিখে আমি সবাদা খোঁজ রাখতাম কে কোন নতুন্নেতর যন্ত্র নিমাণ করচে। ওরা নতুনের মধ্যে করেছিল। এই যে বিভিন্ন যন্ত্ৰাদি কারখানায় বসাবার প্রণালী সম্পপণ্য অন্য ধরণের ও সসংহত ছিল।