পাতা:টমাস বাটার আত্মজীবনী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छैवान् वाक्केन्न आजजगैबनौं Ró কারখানা লাস্ট তৈরি করবার যন্ত্রের পরিমাণ অনযায়ী ভাগ পেল। কেননা জাতোর লাস্ট তৈরির কাল যে কারখানায় কম আছে, তাদের বেশি পরিমাণে জাতো নিদিলন্ট সময়ের মধ্যে গড়ে দেওয়া অসম্ভব। জিল্যানের লোক এতে ভয়ানক উৎসাহিত হ’ল- এবং তা খবই সর্বাভাবিক । চারিদিক থেকে আমার প্রতি ধন্যবাদ বাষিত হতে লাগল, যদিও আমি সে সবের উপযক্ত ছিলাম না। কেননা, মহাযােন্ধ তখন সর হযোচে, সামরিক অর্ডার ষোগাড় করা কিছু কঠিন কাজ ছিল না।--তবে অলসের মত হাত পা কোলে করে বাড়ি বসে থাকলে অবশ্য সর্বতন্ত কথা । এই সব কারখানার মালিকেরা সকলেই তরণ বয়স্ক ও স্বাস্থ্যবান। সমরক্ষেত্রে কায্যের উপযত্ন ছিল। সকলেই। কারখানার মজুরেরাও সৈন্যদলে যোগ দেবার আদেশ পেয়েছিল। আমিই একমাত্র বে-সামরিক লোক ছিলাম তাদের মধ্যে। সৌভাগ্যক্রমে তারা সকলেই নিরাপদে বিনা দীঘটনায় যন্ধক্ষেত্র থেকে পদত্যাবর্তন করেছিল, এবং দৈবক্রমে আমিই দীর্ঘটনার সম্পমখীন হয়েছিলাম। কিন্তু সে কথা যাক । মহাযােন্ধ আমার সে ব্যক্তিগত ব্যাপারের জন্য দায়ী নয়। আমার নিজের তাড়াতাড়ি করবার ফলেই সে দীঘটনা ঘটে। পরে বঝেছিলাম, অতখানি ব্যস্ততার কোন প্রয়োজন ছিল না। লোকজন আমার প্রতীক্ষায় প্ল্যাটফমে অপেক্ষা করছিল, তাদের কাছে যখন আমি কন্ট্ৰাষ্ট্র যোগাড় করবার সমসংবাদ জ্ঞাপন করলাম তাদের আনন্দের সীমা রইল না। যন্ধের সময় কােজ সামরিক বিভাগের পরিচালনায় চলছিল। জাতো তৈরির সংখ্যা ১৯১৭ সালে হযেছিল। দৈনিক দশহাজার জোড়া এবং কারখানার শ্রমিকের সংখ্যা ছিল পাঁচহাজার। কিন্তু কাঁচামাল বিশেষত চামড়ার অভাবে আমরা কাঠের জাতো তৈরি করি, তাও দৈনিক পাঁচহাজার জোড়ার কম নয়। বহলোক যন্ধের সময় আমাদের কারখানায় কাজ করতো। আমাদের কারখানার সেন্টার থেকে সকল জেলার সৈন্যদের খাদ্য সরবরাহ করা হ’ত। অস্ট্রিয়ার সবত্র খাদ্যদ্রব্যের মাল্য অসম্পভব চড়ে গিযেষ্টিলে, আমাদের কারখানা প্রায় ৩৫,০০০ হাজার লোকের খাদ্য শাস্তির সময়ের অপেক্ষা সামান্য কিছু চড়া দামে সরবরাহ করতো। বাড়তি দামটা আমাদের কোম্পানী থেকে দিয়ে দেওয়া হ’ত । এর ফলে অস্ট্রিয়ান সাম্রাজ্যের ধবংসলীলার নিষ্ঠুর ও ভয়াবহ কাৰ্যকলাপ ও পটভূমিকার মধ্যেও আমাদেন। কারখানা ও সহরে বিশেষ চাgল্য দেখা যায় নি । কিন্তু যন্ধের পরবতী সময়ের অর্থনৈতিক পরিবর্তন জন্তোর কারখানাগলিকে ভয়ানক ধাক্কা দিলে। যশোেধর সময় অর্থব্যয়ে যে যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছিল, সেগলি শান্তির সময় জুতো সরবরাহের অন্যকুল নয়। সতরাং সেগলো বদলে আবার অন্য যন্ত্র বসাতেও বিস্তর ব্যয় পড়বে। এদিকে বাজারের অবস্থা ভীষণ খারাপ। কাঁচামাল তো মেলেই না। অর্ডার যদি বা পাওয়া যায়, সঙ্গতা দামে জাতো দেওয়ার কোন উপায় নেই, লোকজন খালি পায়ে হাঁটে, ক্লিয় করবার সামথ নেই কারো। আমরা কারখানার যন্ত্রপাতি ঠিক করে নিয়ে যাদেধর পােবীকার রেটের জন্তোর দাম বেধে দেবাব মনস্থ করলাম, কিন্তু জাতো ব্যবসায়ীরা এতে গেল চটে। কেন বাজারে যখন চড়া দাম মিলচে, তখন দাম কমানোর অর্থ কি ? অর্ডারও পাওয়া যাচ্চে খাবে এবং দাম বেশ চড়া, তখন কম দামে জিনিস দেওয়ার মানে বোকামি ছাড়া আর কি ? আমরা অবশেষে নিজেরাই জাতের দোকান খালে সঙ্গতায় একাদরে জিনিস বিক্ৰী করতে লাগলাম। এই সময় ধীরে ধীরে কারখানাকে যন্ধের পােব অবস্থায় নিয়ে এলাম। S