পাতা:টমাস বাটার আত্মজীবনী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

éb छैधान, बाछैन्न आफ्धअशैवमौं কর্মীদের উদ্দেশে-কমল না ৰেকার জীবন ? আমাদের কারখানা সব প্রথমে শ্রমিকদের মজরির হার বন্ধি করে এবং মাদ্রার মাল্যহ্বাসের সময়েও সেই বধিত হার বজায় রাখে। কিন্তু বিনিময়ের হার বন্ধি হবার পরেও মজরির হার আমরা কমাই নি-কষেক সপতাহ পাব পর্যন্ত সেই হারেই আমরা মজরি দিয়ে এসেচি। চেক ক্লাউনের মাল্য বিদেশে দিবগণেরও ওপর বেড়ে গিয়েচে, যে অবস্থার কল্পনাও আমরা কোনদিন করি নি। গবৰ্ণমেণ্ট মাদ্রার মাল্য বাড়িয়ে দিয়েচেন রাষ্ট্ৰসাবাৰ্থ বজায় রাখবার জন্য।--কিন্তু এর ফলে দাঁড়িয়েচে এই, শািন্ধ জাতো নয়, বিদেশে কোন প্রকার মাল রপ্ততানীই আর সম্পভব নয়। মাল তৈরি করতে যা খরচ, তার অধোঁক দামে বিদেশে আমরা মাল বিক্ৰী করতে বাধ্য হয়েচি । খরিদার দোকানে এসে বলে, “আমরা ফসল বিক্ৰী করাচি আগের চেয়ে অধোঁক দামে। তোমরা জাতোর দাম কমিয়ে অধোক না করলে আমরা মাল কিনি কি করে ?” আমরা দোেটানায় পড়ে গিয়েচি। মাল তৈরি বন্ধ করে শ্রমিকদের কাজে জবাব দেব, যেমন অন্য অনেক কারখানা করেচে, না মাল তৈরির খরচ কমিয়ে আনবে বর্তমান অবস্থার উপযোগী করে ? কারখানার মঙ্গল দেখতে গেলে প্রথমোন্ত পন্থাই ঠিক, কারণ তাতে পাবেবি তৈরি মজীদ ১rাল যে কবে হোক, বিক্ৰী করে ফেলতে পারা যাবে, যাতে খাব লোকসান না হয় এমন সঙ্গতা দাম বোধে দিয়ে। যতদিন কাঁচামালের দাম আমাদের পক্ষে অনাকুল না হয়, ততদিন এই ব্যবস্থা বজায় রাখতে হবে । কিন্তু তার ফলে কি দাঁড়াবে ? দেশের শ্রমিককুল পথে দাঁড়াবে, তাদের না জািটবে অম্ল, না জটবে আশ্রয়। তাতএব আমরা কারখানা বন্ধ না করে মাল তৈরির খরচ কমাতে সচেন্ট হই। বসন্তকালে মালের যা দাম, তার অর্ধেক দামে যেন বৰ্তমানে আমরা মাল বিক্ৰী করতে পারি। এটাই আমাদের লক্ষ্য। এই মােলাহাস অলেপ সম্ভব হয় নি। নানাদিক থেকে আমাদের মিতব্যয়ী হতে হয়েচে । মজারিব হার কমাতে হয়েচে প্রায় শতকরা চল্লিশ ভাগ। যেমন আমরা মজরি কমিয়েচি. অনাদিকে আমরা আমাদের কারখানায় শ্রমিকদের বাজারের দামের চেয়ে অর্ধেক দামে খাদ্য, বস্ত্ৰ ধোয়ানোর খরচ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করার ব্যবস্থা করেচি। বাজার না চড়া পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চলবে । জনসাধায়ণের প্রতি ( মালাঞ্ছাসের বিজ্ঞাপনী ) দেশবাসী যাতে শরৎকালের উপযোগী জাতো কিনতে সক্ষম হয়, যাতে তারা স্থানীয় বাজারেই সসীতা জাতো পায়, যাতে কারখানা বন্ধ না হয়, যাতে কোন মজারকেই কাজে জবাব দিতে না হয, যাতে স্টেটকে অনৰ্থক বেকারের ভাড়া দিতে না হয়, মাল্যহ্বাসের সাধারণ পথ ধীরে ধীরে গড়ে তোলার জন্য, বিনিময়ের হারের দরবন, দেশীয় মাদ্রার মাল্য বিদেশে বন্ধি পাওয়ার দরবন, যে অৰ্থনৈতিক সঙ্কট দেশব্যাপী, তাহা দায়ীকরণার্থ, ১লা সেপ্টেম্বর থেকে আমাদের জাতের দাম, গত বসন্তকালে নিন্দিজট দামের অধোঁকা হয়ে গেল।