পাতা:টমাস বাটার আত্মজীবনী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

98 चिान बाज़ खा बचन। মাহিনীর কিছু অংশ কারখানার ব্যাকে জমা রাখে, আমরা প্রতিবৎসরের মঙ্গদে টাকার সদ অবশ্য দিয়ে থাকি। মজরির হার কমে গেলে ব্যাঙ্কের টাকাও কমে যাবে। মজারেরা বেশি টাকা ব্যাকে জমা দিতে পারবে না। কোম্পানীর অর্থনৈতিক দরবস্থা দেখা দেবে। এই টাকার সােদ যোগাতে হ’লে বর্তমানে মাল বিরুয়ের যে পরিমাণ, তার দিবগণ বাড়াতে হবে। সতরাং দেখা যাচ্চে যে ক্ষতি সহ্য করতেই হবে কারখানা চালাতে হ’লে। বাজার দরের অর্ধেক দামে মজরদের খাদ্য, পরিচ্ছদ সরবরাহ করতে আর একদফা ক্ষতি সহ্য করতে হবে। তবে আমরা আশা করি, মাল তৈরির হার বাড়িয়ে দিয়ে সেই ক্ষতি লাভে দাঁড় করাতে পারা যাবে। ক্ষতির ভাব সহ্য করতে হচ্চে ক্রেতাকে নয়, শ্রমিককেও নয়, কারখানার মালিকদের। এ ব্যবস্থা কারখানার মালিকদের মনঃপত হবে না জানি, কারণ এতে তাদের যথেষ্ট স্বাৰ্থত্যাগ করতে হবে । শখ, আট ঘণ্টা মজর খাটিয়েই এ সমস্যার সমাধান হবে না, তার চেয়ে আবও বাড়াতে হবে। সবৰ্ণনাশের মখে, বিপদের মখে, বেচে থাকতে হ’লে অলপ পরিশ্রমে, অলপ দঃখে, তা সম্পভব হয় না। অনেক বেশি দ্বাৰ্থত্যাগের প্রযোজন হয়ে পড়ে। আমরা যদি সাবাথ ত্যাগ করি, তবেই আমবা গবৰ্ণমেণাটকেও ডাক ও রেল বিভাগে সাবাথ ত্যাগ করতে বলবার অধিকার অর্জন কববো। ক্লাউনেব। বর্তমান মাল্যবধিতে লাভবান হয়েচে কাবখানাব মালিকেরা নয। --ব্যাত্তিক ও পঞ্জিবাদীরা। এই সমযে কাউনেব দাম বোধে দেওয়া খাব আবশ্যক। --নতুবা শিল্প-বাণিজ্যের ধবংস অনিবাৰ্য । উন্নতির উপায় প্রাহা থেকে সংবাদ পাওয়া গেল ষে আমাদের দেখাদেখি সেখানেও জাতোব দোকানগলি৷ তাদের মালের দাম কমিযে দিয়েচে আমাদের দরের সঙ্গে সমতা বজায় রেখে । লোহার তৈরি মালের দর এক টনে ৩০-১০০ ক্লাউন অর্থাৎ প্রায় শতকরা ৩০ ভাগ কমে গিয়েচে । ক্লেতা এইবার লোহার তৈরি দ্রব্য কিনতে ইতস্তত কববে না। লোহার দাম বেডে যাওযাতে আমাদের কারখানাও লোহার পরিবতে কাঠ ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছিল, যদিও লোহার জিনিস অনেক বেশি টেকসই। নৌকা কারখানায আমরা জলের ড়েন এক কিলোমিটার বাড়ালাম কাঠের পাইপ বসিযে। লোহারা পাইপের দর অত্যন্ত চড়া, যে টাকাব্য লোহাব পাইপ কেনা যেত, তার সােদ থেকে কাঠের পাইপ কেনা গেল। অথচ আমরা সকলেই জানি এ কাঠেব পাইপ দশ বৎসরের বেশি টিকতে পাবে না। সতরাং দেখা যাচ্চে ক্রেতা লোহার জিনিস কেনে না-কিংবা নিতান্ত দরকারী জিনিসের ফ্যান্য হয়তো কিনতেও পারে। সব জিনিসের অবস্থাই এই রকম। আগে মায়েরা বিরান্ত হতেন, ছেলেমেয়েদের জামা, জাতো এত বেশি, তাঁরা এতগলি জিনিস সামলাবেন কি করে। এখন বেশি থাকা তো দরের কথা তাঁদের ছেলেমেয়েরা অনাবতপদে স্কুলে যায়। জিনিসপত্রের মাল্য এত বেশি যে ক্লেতা পিছিযে যায়। এ সময মাল তৈরি কমিষে বহা শ্রমিকদের বেকার করে রাখলে দেশকে অৰ্থনৈতিক সঙ্কট থেকে কি করে বাঁচান যাবে ? কম দরে মাল দেওয়া যাবে কি ভাবে ? শীতকালে অনাবতপদ বালকবালিকাদের বিদ্যালয় গমনের দশ্য যাতে আর না দেখতে হয়, সেই জন্য এ ব্যবস্থা অত্যাবশ্যক। এইবার ১৯২২ সালের দদিন এসে গেল। বাটা বরাবরের জন্য মালের দাম কমিয়ে রেখে দিয়েছিলেন এবং মজরদের বেতন সাদিন এলে আবার বহাগণ বেড়ে যাবে একথা তাদের শনিয়েছিলেন।