পাতা:টমাস বাটার আত্মজীবনী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(C) बान, बा जापकाद्यौवनं কলকারখানার ম্যানেজার। যদি ভাল না হয়, তবে খাব যন্ত্রপাতি এবং শ্রমশীল সহরেও সে ব্যবসাকে দড়ি করাতে পারে না। টমাস বাটা। এ সত্য উপলব্ধি করেছিলেন বলেই তিনি সরে থেকেই তাঁর বিরাট কারখানার শত শত বিভিন্ন বিভাগের আজ যারা কর্ণধার, তাদের শিক্ষা দেবার সাব্যবস্থা করেছিলেন-যাতে তারা কমানপণ ও সংযমী নেতা হয়ে উঠতে পারে। এই শিক্ষাব্যবস্থার গণগান করে নি এমন নেতা আমি দেখি নি—এমন কি যারা আমাদের কারখানা ছেড়ে অন্যত্র বেরিয়ে গিয়ে আমাদের সঙ্গে ব্যবসাক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়েচে, তাদেরও বলতে শোনা গিয়েচে, “বাটার স্কুল থেকে অনেক কিছু, শিখেচি বটে।” টমাস বাটা বলতেন, “যখনই দেখি খারাপ গোড়ালি-ওয়ালা অ-মজবন্ত জাতো কারখানা থেকে বেরিয়ে আসচে, তখনই ভাবি কারখানার কোন বদলোকটা এমন জাতো তৈরি করলে—এ কুশিক্ষা সে পেলে কোথায়। কুচরিত্রের লোকে কখনো সদর কাজ করতে পাবে না।” আমার একটা ঘটনার কথা মনে আছে। এ সময়ে বাটী কম সম্পবন্ধে সন্দর একটি বস্তৃতা দিয়েছিলেন। একবার চামড়ার উপযন্ত ব্যবহার ও মিতব্যযিতার ভারপ্রাপ্ত জনৈক ডিবেক্টর, তাঁব বন্যাস বছর ত্রিশ হবে- একটি বাড়িতে অবস্থিত কুড়িটি বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। এই কুডিটি বিভাগে যাতে আরও ভাল কাজ হয়, এই তাঁকে দেখতে হবে। তিনি সেই বাড়িব এ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে চিফের কাছে গিয়ে বললেন, “আমি এক সপতাহেব জন্যে এই কাজ দেখবো, তা হ’লেই কাজ খাব ভাল চলবে, কারণ আমি আর একবার এই বিভাগগলিব যথেস্ট উন্নতি করে গিয়েছিলাম, আমি জানি কি করে তা করতে হবে।” ঢমাস বাটা তাঁর এই তরণ কর্মচারীর উৎসাহ পণ্য কথা নীবাবে শনলেন। সত্যিই দু'জনেব খব উৎসাহ, কমে সাফল্য সম্পন্ধে কারো সন্দেহ নেই। তিনি আরও ছ’জন লোককে ঘরের মধ্যে আনলেন- “এই ছ’জনের সঙ্গে পাবোন্তি কমের কোন সম্প্রবন্ধ ছিল না। তারপর বললেন, “মানষের বয়স ত্ৰিশ বছর হওয়া একটা সাংঘাতিক ভুল। আমার যখন ও বয়েস ছিল, তখন আমিও ভাবতাম তুড়ি মেরে সব কাজ করে ফেলব। তোমাদেব মত উৎসাহের সঙ্গে আমিও কাজ আরম্ভ করেছিলাম একদিন। এক লাফে তিন পা করে যাই আর কারখানায় প্রত্যেক শ্রমিকের কাজের তত্ত্বাবধান করি। কিন্তু কিছুদিন পরে কারখানার কাজ আবার খারাপ হতে লাগলো। আবাব আমি খাটি, আরও কড়া নজর রাখি সকলের কাজে। কিন্তু আমার পরিশ্রমে কি হবে ? যািবক ছিলাম, খাটতে পাবতামকিন্তু বন্ধি ও অভিজ্ঞতা পাবো কোথায় ? কেউ আমায় তখন বলে নি যে ভাল জাতো তৈরির মনস্তত্ব ও তৈরির কৌশল দই-ই জানা চাই, তবে জাতোর ব্যবসায়ে সাফল্যলাভ ঘটে। আত্মবিশ্ববাস ভাল জিনিস, কিন্তু অজ্ঞানের আত্মবিশ্ববাস কোন কাজের জিনিস নয়। মানষের মন ও হৃদয় লোহা-ইস্পাতের যন্ত্রের চেয়ে অনেক বেশি জটিল-একে ঠিক মত চালানো যে কত শক্ত কাজ তা তখনও আমি বৰ্ব্বতে পারি নি। সেই কাজ। আপনাদের সামনে আজ এসেচে। একটা উদাহরণ আমি আপনাদের কাছে উপস্থাপিত করি। গত সম্প্ৰস্তাহে আমি একটি কারখানার দোষ সংশোধন করেচি কিভাবে শািনন। এই কারখানার জাতো খাব খারাপভাবে তৈরি হ’ত।