পাতা:টমাস বাটার আত্মজীবনী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ईमान बान जापाखौवनौ AS চক্ৰ আমাদের সে পঞ্চগতা দাির করেচে-রাস্তা ছোট করে এরা পরস্পরকে মিলিয়ে এনেচে, কারকে করেচে। নিকট, আমাদের চিরন্দ্ৰাম্যমান আত্মার অন্তরের তৃষ্ণা মিটিয়েচে। ক্ৰমে চক্র থেকে হ’ল ইঞ্জিনের জন্ম-দরিত্বের বাধা অতিক্রম করলে মানষ। কিন্তু রাস্তার সমস্যা বড় হয়ে দেখা দিল। পড়বে যারা রাস্তা তৈরি করেছিল, তাদের সাইকেল বা মোটরগাড়ি সম্পবন্ধে কোন ধারণা ছিল না। রাস্তা ভাল করে মাপাবার তাদের দরকার ছিল না। এক সরাইখানা থেকে অন্য সরাইখানা পর্যক্ষত রাস্তা নিয়ে গেলেই যথেস্ট হ’ল--এই ছিল তাদের ধারণা। আমাদের পােব পরিষেরা এর চেয়ে ভােল রাস্তা দেন নি। আমাদের। সে রাসত, আমাদের উন্নতি করা দরের কথা, পদে পদে বাধা দেয়, উন্নতিকে অবরুদ্ধ করে। আর কি ভীষণ অাঁকাবাঁকা উচুনীচু রাস্তা আমাদের দেশের। সেই সব বাঁকা রাস্তাকে সোজা করতেই স্টেটের কমপক্ষে দই মিলিয়াড় ক্লাউন খরচ হবে। আট মিলিয়াড় খরচ হবে পিচ দিতে। সাইকেল কিনতে বেশি খরচ নয়-কিন্তু আমাদের মানষের অবস্থা ওতে ভাল হবে। জাতির উপকার আমাদের আত্মার আনন্দো, টাকার অণ্ডেক তার হিসেব লেখা যায় না। রাস্তার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে জাতির অর্থনৈতিক অবস্থারও উন্নয়তি। আমাদের অনাগত বংশধরেরা আমাদের মানষে বলেই ভাববে না। নতুবা। ধলো-কাদায় লাটােপটি খেয়ে বেড়ায়, এমন অসহায় পােবপরিষেও ছিল তাদের। অনাগত উত্তরপরিষদের ঘণ অর্জন করতে যদি না চাও, দশ মিলিয়ার্ড ক্লাউন বায় কর ভাল রাস্তার জন্যে। সত্যিকার মানষের মত উন্নত জীবনযাপন করতে আমাদের সংকোচ কিসের ? যখন গ্রামে গ্রামে তরুণেরা খনোখনি করচে তরুণীদের ওপর অধিকারের দাবি নিয়ে, তখন বৈজ্ঞানিকেরা টেধিলে বসে মোটা । মোটা কেতাব লিখচেন, মানষের উন্নতির উপায় বাৎলে। কিন্তু কথায় কি হয় ? পাস্তব জীবনে গতিশীল চকু সেই সমস্যার সমাধান করলে। কথায় কিছু হয় না।-- মানষের মন হরণ করে কাজ । আমাদের জাতির উন্নতির জন্য যদি আমাদের পথঘাট পাথর দিয়ে না বেধে সোনা দিয়ে বাঁধাবার দরকার হয়।--তাও আমাদের করতে হবে । उभाधान उवथनांकक आप्रभ' [ ১৯৩০ সালে আন্তজাতিক ব্যবসায় সমিতি টমাস বাটাকে অন্যুরোধ করেন, তাঁর উন্নতির কারণ কি, সে সম্পবন্ধে কিছু লিখতে। তদনসারে টমাস বাটা নিম্নলিখিত রচনাটি আন্তর্জাতিক ব্যবসায় সমিতির পত্রিকায় প্রকাশ করেন। ] আপনারা আমায় বলতে বলেচেন আমার ব্যবসাকে এত বড় করে তুললাম কি করে। আমি উন্নত ও কৃতবিদ্য মানষি গড়ে নিয়েচি নিজের হাতে, তাদের কম শক্তিকে সঞ্জীবিত করেচি-তারা, সেই মানষেরা আমার ব্যবসায়কে গড়েচে । আমার দািঢ় বিশ্ববাস আমরা উলেটা ও ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য আরম্ভ করি। আমাদের উচিত এমন একটি নৈতিক পরিবেশের সন্টি করা, যার মধ্যে মানষের মন উন্নত হয়, কমপ্রণালী বিশদ্ধ ও বাধ্যাশন্য হয়। এ করবার কোন বাঁধাধরা নিয়ম নেই বলেই আমি নিজের কম প্রণালী নিজেই ঠিক করে নিলাম। দেশের সম্মখে এই আদর্শকে পথাপিত করতে হবে আমাকেই।