পাতা:টমাস বাটার আত্মজীবনী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

48 भान वाढ आषाबौवनौ এ বন্ধত্ব আমাদের দেশের মত নয়। আমাদের দেশে বন্ধ সাহায্য করতে আসে মদ খাবার লোভে । হল্যান্ডে শনিবারে যখন দোকানে ক্রেতার বেজায় ভিড়, তখন বহুখিরা শােধ বন্ধত্বের খাতিরেই আসে। সাহায্য করতে । রটােডামের এমন একটি দোকানে সাহায্যকারীদের মধ্যে একটি ভদ্রলোক ছিলেন, যিনি নিজের দোকান বন্ধ করে ছটে এসেছিলেন বন্ধকে সাহায্যদান করতে। ' আমাদের দেশের বন্ধত্ব অন্যবিধ। বন্ধ এসেচে, দোকানদার অলসভাবে বসে বসে বন্ধর সঙ্গে আড্ডা দিচ্চে, ধামপান করচে-দোকানের কাজকম ফেলে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, লোকটা কি ক্লেতা ? দোকানদার ইতস্তত করে উত্তর দিল--হ্যাঁ। পরে আমি জানতে পারলাম – আগন্তুক ক্লেতা হিসাবে অতি সামান্য, আন্ডাবাজ বন্ধ হিসাবেই বড়। হাতে যখন কাজ না থাকে (কাজ থাকে খবই কম) তখন এই লোকটি এসে আমাদেব দোকানের ম্যানেজারেব সঙ্গে বসে আন্ডা দেয়, সিগারেট টানে, ম্যানেজারেব সঙ্গে সঙ্গে ঘোরো-এক কথায় তার নিজের বাড়িব চেয়ে আমাদের দোকানেই বেশি সময় যাপন করে। এই বন্ধর বিশেষ কোন ব্যবসাযি দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা নেই, যা আমাদের ম্যানেজারেব কাজে আসতে পারে। বাজে গালগল্প ও ধর্মপান ব্যতীত তাকে অন্য কোন কাজ কবতে দেখি নি দোকানে যখন ক্রেতার খািব ভিড়, তখনও দেখিনি তাকে তার বন্ধর কাজে সাহায্য করতে । এ ধরণের বন্ধত্ব করে কোন লাভ নেই। এবা নেফা অনেকখানি, দেয না কিছই। ব্যবসাদারের পক্ষে বহমাল্যবান সম্পত্তি হচ্চে সময়, সেই সম্পত্তিকে তারা ব্যথা নািস্ট কবে। ব্যবসাদাবোবা উচিত শধ ব্যবসাদারের সঙ্গে বন্ধত্ব কবা। কেরাণীর কাজ অন্যরকম --দিনের মধ্যে কযেক ঘণ্টা কাজ, তারপব তার ছটি। ব্যবসাদাবকে সর্বদা নিজের কাজ নিযে ব্যস্ত থাকতে হবে- এব্বকম লোকের সঙ্গে বন্ধত্ব করে তার লাভ কি ? আমি কয়েক বৎসর একটি সহরে বাস কবিতাম, সেখানে অনেক ব্যবসাযী থাকতো - তাদের মধ্যে প্রায সকলেই ইহদী। আমাদের খাস্টানদের মধ্যে যদি কেউ কোন ব্যবসা খালত বা কাবখানা স্থাপন করত, তবে দ’এক বছরের মধ্যেই ফেলে মেরে বসত। তার কাবণ, তখন তারা ভাবত-“এখন আমাদের ভদ্রসমাজে মেশা দবকাব। তখন তারা সমাজের উচ্চস্তরে প্রবেশলাভ কববার চেস্টােব্য ঘাবতো। তাদেব বিশ্ববাসী ভদ্রলোকেরা শােধ বসে বসে বিয়াব খাদ্য, শিকার কবে, পাটি দেয, পিকনিক কবে। এই কবে বেড়ানোর ফলে ব্যবসায্যের সনিদি ভ্ৰাট মঙ্গলের পথ থেকে ভ্রস্ট হয়ে পড়ে তারা উচ্ছন্ন যেত। অথচ ইহদীরা সে রকম নয, তাবা অন্য লোকের সঙ্গে বন্ধত্ব বড় একটা করতো না। নিজেদেব দলের মধ্যেই থাকতো, সব দা ব্যবসাসংক্রান্ত কথাবাতা ছাড়া বলতো না। একজন ব্যবসায়ীর অনেককিছ, শিখবার ছিল তাদেব কথাব্যতা থেকে যা সে নিজের ব্যবসাযে খাটিযে লাভবান হতে পারতো। আর আমাদের ব্যবসায়ীদের দেখ - তারা বন্ধত্ব করে কেরাণীদের সঙ্গে, কিংবা ব্যবসা করে যে ফেল মেবেচে, এমন ব্যবসাদারের সঙ্গে। তাবা নিজের কাজকে যথেস্ট শ্রদ্ধা করে না-গলাপ করবার ও আন্ডা দেবার দিকেই তাদের ঝোঁক । এব। ফলে লক্ষয়ী একদিন তাদের ছেড়ে যাবেন, একথা ধ্রুব সত্য।