পাতা:টমাস বাটার আত্মজীবনী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

铲8 wo di Got.Fs আমাদের চেক সহরগলিতে অনেক ব্যবসায়ী আছে, যারা জীবনে কিছু করতে পারে নি। শািন্ধ সৌখিীন সমাজের লোকের মত জীবন যাপন নকল করতে গিয়ে। ব্যবসায়ীর জীবন বিলাসীর জীবন নয়। আমাদের বিদ্যালয়গালিতে যে সব ছাত্র অধ্যয়ন করচে, তাদের জীবন এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা ভবিষ্যতে নিজেরা ব্যবসা গড়ে তুলতে পারে যা বড় ফামের সঙ্গে নিজেদের সংযন্ত করতে পারে। ব্যবসায়ের স্কুলের অধ্যক্ষদের উচিত তরণ ছাত্ৰাদিগকে ভবিষ্যৎ ব্যবসায়ীরাপে গড়ে তোলা। অতএব দ’মাস তিনমাস ছটির কোন প্রয়োজন নেই ষোল বছর আঠাবো বছর বযসেব তরুণদের। ব্যবসাদারের কাজ। দড়িবাজি খেলা দেখানোর মত। একজন দড়িবাজি খেলোয়াড়কে দড়ির ওপর নাচতে শিখিয়ে তাকে বাইশ বছর বয়সে দড়িব নােচ দেখিয়ে জীবিকা অজািন করতে পাঠালে তার শরীর শান্ত হয়ে গিয়েচে বলে সে সাফল্যলাভ করতে পারবে না, এই বিষসে সে বিপদের মখো যেতে ভযও পাবে। সাধপথে চলে ব্যবসা দবারা ধন উপাৰ্জন শেখােনই ব্যবসায্য বিদ্যালষগলির উদ্দেশ্য। কাজেই এখানকাব ছাত্রদের জীবন অন্য পথে পরিচালিত হওযা দবকার। সাত বছরেব ছেলেটিও এখানে নিজেব উপজািন নিজে করতে শিখবে। বাইশ বছর বয়সে ব্যবসা-বিদ্যালয থেকে ডিগ্রি নিয়ে বেরবাব পাবে যে ছাত্র উপাজােন কিছু না করবে, কিছু টাকা না জমিযে রাখবে- সে ভাল নম্বর পাবে না। ছাটিগলিতে স্ফীতি করে ব্যাপম্যায়ের পয়সা ওড়াবে না যে ছাত্র, পযসা রোজগার কববে, কিছ, কিছু জমাঝে - সেই ছাত্র ভবিষ্যতে ব্যবসায়ে সাফল্য অর্জন কববে। বিদ্যালয় ও ৰাসগহ নিমাণ ( ১৯৩১ সালে প্রদত্ত বস্তৃতা ) আমাদের গদামঘর তৈরির সমযে বহনকালেব পঞ্জীভূত কুসংস্কাবেব বিরুদ্ধে আমাদের যন্ধ করতে হযেছিল। বিশেষজ্ঞগণ নতুন বাড়িগলির আভ্যন্তরীণ গঠনের ব্যাপার নিযে ওজর আপত্তি তুলেছিলেন- বিশেষত সবাস্থ্যের দিক দিয়ে। পরান আমলের মিস্ত্রিদের আমরা বলেছিলাম। এই সব গঠনের কাজে আমাদেব সাহায্য কবতে কিন্তু তাবা হাতের কাজ ভালই জানে, কাগজে-কলমে আওক বা নক্সা দ্বারা মনের ভাব প্রকাশ কবতে পারে না। এ জ্ঞানেব অভাবে তারা কাজ আরম্ভ করতে পাবলে না। স্কুলে প্রত্যেক বালক যেন এই জিনিসটা শেখে। হাতের কাজ যতই ভাল করতে পারক, যদি সে মনের ভােব কাগজে প্রকাশ করতে না পারে।--তবে তার ঘারা উচ্চস্তরেব কোন কাজ হওয়া কি সম্ভব ? আমি শিল্প-বিদ্যালয় তখনি পরিদর্শন করি। এই বিদ্যালয় কারখানা থেকে সাহায্য পেয়ে আসচে। গাহনিমাণের শ্রেণীতে গিয়ে দেখি ছাত্রেরা গ্রীক সত্যভ নিমাণ বিষয়ে পাঠ প্রাপ্ত হচ্চে। কিন্তু দেখি, সেই দিনে সেই শ্রেণীর ছাত্রেরা পায়খানার নলের নক্সা আকিতে পারলে না। শিক্ষকের মনোযোগ সেদিকে আকৃষ্ট করাতে তিনি ও আমি এক সঙ্গে স্বীকার করলাম গ্রীক সতশোেভর অপেক্ষা এ সমস্যার সমাধান সংসারে বেশি দরকারী। আমি তাঁদের বললাম, আমাদের দেশে অগ্নিকাডের একটি প্রধান কারণ চিমনির ভুল মাপ। যদি চিমনিব সঠিক উচ্চতা ও অন্যান্য মাপ ছাত্রদের শেখানো হয়, তবে কোন মিস্ত্রি বাড়ি তৈরির সময় ভুল ও বিপদজনক চিমনি তৈরি করতে পারবে না-কারণ ছেলেরা তখনি তা ধরে ফেলবে।