আবার আত্মঘাতিনী হইয়া কেন পারলৌকিক সুখে বঞ্চিত হইব, যে হেতুক আত্মঘাতি ব্যক্তিরা অবশেষে নিরয়গামী হয়। এইরূপ চিন্তা করিতে করিতে তামসী বিভাবরী সমুপস্থিতা চতুর্দ্দিগ অন্ধকারে আবৃত এবং গগনমণ্ডল তারকাস্তবকে বিমণ্ডিত হইল। পরে নিবিড় কুজ্ঝটিকা ও তুষারে পথ ঘাট আচ্ছন্ন করিলে নিঃশব্দ রজনীতে স্বীয় সন্তানটিকে ক্রোড়ে লইয়া প্রস্থান করিয়া যেরূপে পলায়ন করিয়াছিলেন, তাহা পাঠকগণ ক্রমশঃ নিস্নস্থ ইতিহাস পাঠ করিলেই জানিতে পারিবেন।
ইলাইজা এইরূপ পলায়ন করিবার অব্যবহিত পূর্ব্বে কাগজ ও পেনশীল লইয়া কৃতজ্ঞতা সুচক একখানি পত্র লিখিয়া ঐ বাটীর কর্ত্রীর নামে শিরোনামা দিয়া গৃহ মধ্যে রাখিলেন। যে হেতুক ঐ কত্রী হারির বিক্রয় নিবারণে জন্য বিস্তর চেষ্টা পাইয়াছিলেন, কিন্তু কৃতকার্য হন নাই। ঐ পত্রের তাৎপর্য এই, যে হে কৃপাময়ী কর্ত্রী! এরূপ পলায়ন করাতে আমাকে কৃতঘ্ন বা নিষ্ঠুর বোধ করিবেন না। আমার তনয়কে উদ্ধার করণ হেতু এরূপে পলায়ন করিতেছি, ভবদীয় দয়ার্দ্র চিত্ত নিবন্ধন জগদীশ্বর তোমাকে ইহকালে সুখস্বচ্ছন্দে রাখুন, এবং পরকালেও