তাহা হইলে তোমার উদ্ধার বিষয়ে অনেক ব্যাঘাত জম্মাইবে, এবং সেই নৃশংস তোমার অভাগিনী মাতার কোল শূন্য করিয়া লইয়া যাইবে। তজ্জন্য আমি তোমাকে অগ্রে লইয়া পলায়ন করিব, তখন সজল নয়নে জগদীশ্বরের প্রার্থনা করিতে লাগিলেন, হে সর্ব্বকরুণাকর জগৎ পিত! আমি যেন হারির উদ্ধার বিষয়ে কৃতকার্য্য হই।
তৎকালে রজনী অতীব ঘোরা এবং কুজ্ঝটিকা ও তুযারে পথ ঘাট প্রচ্ছন্ন, নভোমণ্ডলে তারাগণের আলো ব্যতীত আর কোন আলোর সম্ভাবনা ছিল না, এমত সময়ে ইলাইজা আপন সন্তানের গাত্রে বসনাবৃত করত বক্ষঃস্থলে ধারণ পূর্ব্বক দ্বার উদ্ঘাটন করিয়া নিঃশব্দ পদসঞ্চারে বাটীর বাহির হইলেন, এবং দ্রুত গমনে পাছে কোন ব্যাঘাত জন্মে তন্নিমিত্তে ঐ বস্ত্রখানি আপন গলদেশে দৃঢ়রূপে বন্ধন করিলেন, পরে কিয়দ্দূর গমন পর্য্যন্ত হারি শঙ্কা প্রযুক্ত জাগরিত ছিল, অবশেষে নিদ্রা সমাগত দেখিয়া আপন মাতাকে কহিলেন, মাত! নিদ্রার প্রভাবে আমার কলেবর অবসন্ন হইতেছে, আপনি অনুমতি করিলে ক্ষণেককালের নিমিত্তে নিদ্রা যাই। তাহাতে তদীয় মাতা বলিলেন, যদ্যপি নিদ্রায় কাতর হইয়া থাক, তবে