করিল, কিন্তু তাহাদের মনে এমত ইচ্ছা ছিল না যে অশ্ব লইয়া ইলাইজার পশ্চাদ্গামী হয়, যে হেতুক তাহারা উভয়ে ক্রীতদাস, দাসত্ব শৃংখলের অসহ্য দুঃখ বিলক্ষণ অবগত আছে কিন্তু কি করেন প্রভূ আজ্ঞা লঙ্ঘন করিতে পারেন না, পরে অশ্বালয়ে যাইয়া ছলে অশ্বদিগকে ভয় প্রদর্শন করাতে তাহারা বন্ধন পাশ ছিন্ন করত একদিগে পলায়ন করিল, তাহারাও উভয়ে ঘোটক ধারণ জন্য সেই দিগে ধাবমান হইল, সুতরাং অশ্বানয়নে বিস্তর বিলম্ব হইল, তাহাতে বণিক অতিশয় ক্রোধান্বিত হইলেন। কিন্তু কি করেন কোন উপায় নাই, পরে মধ্যাহ্ন ভোজন কাল সমাগত দেখিয়া লূনাম্নী পাচিকাকে রন্ধন করিতে আদেশ দিলেন। পরন্তু পাক করিতে ইচ্ছা মত বিলম্ব করাতে ভোজন করিতে প্রায় বেলাবসান হইল। পরে সাম ও আনভি অশ্ব লইয়া তথায় উপস্থিত হওয়াতে বণিক তাহাদিগের সহিত ইলাইজার ও হারির অন্বেষণার্থে যাত্রা করিলেন।
এই ক্ষণে ইলাইজা হারিকে লইয়া অনেক দূর গমন করিয়াছে, কিন্তু দিনযামিনী পদব্রজে চলিয়া যাওয়াতে দুই জনেই অতিশয় শ্রান্ত হইয়াছিল, তজজন্য হারি নিদ্রায় অচেতন হইয়া তুষারোপরি শয়ন করিতে আগ্রহ হ