কতই হাস্য করিতে লাগিল। তদ্দর্শনে বণিক রোষপরতন্ত্র হইয়া যৎপরোনাস্তি গালি দিয়া তাহাদিগকে কশাঘাত করিল। পরে রজনী কালে পার হওয়া সুকঠিন বোধে পর দিন প্রত্যুষে নৌকা আনাইয়া পার হইবেন এবং হারিকে ধৃত করিবেন এই মনেস্থির করিয়া একটী সামান্য বিপণিতে রাত্রি অতিবাহিত করিলেন।
পরে ঐ সাধু ব্যক্তি ইলাইজাকে কিয়দ্দূরে একটী সুরম্য বাটী দর্শাইয়া বলিলেন যে, তুমি ঐ বাটীতে ত্বরায় গমন কর, তাহা হইলে তোমার এ বিপদোদ্ধারের উপায় অবশ্যই হইবে। যে হেতুক ঐ বাটীতে এক জন ভদ্রলোক স্বীয় সহ ধর্ম্মিনীর সহিত নিবসতি করেন, তিনি তোমার এরূপ দুরবস্থা সন্দর্শন করিলে উপায়ান্বেষণে অবশ্যই যত্নবান হইবেন। ইলাইজা তদনুসারে আর্দ্রবসনাবৃত তনয়টিকে ক্রোড়ে করিয়া অতিকষ্টে গমন করিতে লাগিল, যেহেতুক তাহার পাদদ্বয়ে পাদুকা না থাকাতে বরফের উপর দিয়া চলাতে পদক্ষত বিক্ষত হইয়া ছিল, কি করেন প্রাণের দায় সকলি সহ্য করিতে হয়। একবার যতদূর গমন করেন, আরবার ভূমিতে আসীন হন, আর চলিতে পারেন না, এরূপাবস্থায় বাটীর নিকটে উপনীত হইলেন, এবং তথায় যাইয়া দেখিলেন যে আবাস অভ্যন্তরে রন্ধন শা