পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাক-গাড়ী স্কোয়ার মহাশয় শয্যা-দাসীর হাতে তাহাকে শুইতে পাঠাইলেন। যাইবার সময় তাহার করমর্দন করিয়া (কারণ টম সেই সকালবেলায়ই তাহাকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করাইয়া লইয়াছে যে অতঃপর তাহাদের মধ্যে চুমম খাওয়া নিষিদ্ধ ) বিদায় কালীন এই কয়টি কথা বলিলেন। স্কোয়্যার মহাশয় বলিলেন “বাবা টম, মনে থাকে যেন, তােমারই আকিঞ্চনে, তুমি এই মস্ত সরকারী স্কুলের মধ্যে নিক্ষিপ্ত হতে যাচ্ছ, প্রায় পিজরের মধ্যে বাচ্ছা ভালুকের মত, তােমার সমস্ত আপদবিপদ সামনে নিয়ে, আমাদের ইচ্ছায় হলে বােধ হয় তােমাকে আমরা আরও কিছুদিন পরে ওখানে পাঠাতাম। স্কুলগুলাে আমাদের সময় যেমন ছিল যদি এখনও তেমনই থাকে তাহলে সেখানে অনেক নিষ্ঠুর পেজেমাে কাজ দেখতে পাবে, অনেক খারাপ কুৎসিৎ কথা শুনতেও হবে, কিন্তু ভয় পেও না, সত্য কথা বলবে, বুকে সাহস এবং প্রণে দয়া রাখবে, এমন কোন কথা বলবে না বা এমন কোন কথায় কান দিবে না যা তােমার মা কি বােন শােনেন বলে ইচ্ছা কর না, আর তা হলে তুমি বাড়ী ফিরে আসতে কখনও লজ্জিত হবে না, আর আমরাও তােমাকে দেখে কখনও লজ্জা বােধ কয়ৰ না।” মায়ের নাম উল্লেখে টমের প্রায় দম ধরিয়া আসিয়া ছিল, বড় ইচ্ছা হইয়াছিল যে বাবাকে একবার ভাল করিয়া জড়াইয়া বুকের কাছে চাপিয়া ধরে, কিন্তু তাহার সেই অনতিপূৰ্ব্বতন চুক্তির কথা স্মরণ করিয়া নিরস্ত হইয়াছিল। সে কেবল তাহার বাপের হাত জোরে চাপিয়া ধরিয়া তাহার মুখের দিকে সাহসের সহিত চোখ তুলিয়া বলিল “আমি চেষ্টা করব বাবা।” “তা আমি জানি তুমি করবে, বাবা। তােমার টাকাকড়ি সব ঠিক আছে”? “হাঁ,” বলিয়া টম পকেটে হাত পুরিয়া দেখিল। “আয় তােমার চবিগুলা?” টম আর এক পকেটে হাত পুরিয়া বলিল “সৰ