পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- ৯৮ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। তাহারা নিজ নিজ কাজ রাখিয়া আমাদিগকে প্রীতির চক্ষে দেখিতে লাগিল। এই যে আমরা ঘর ঘর করিয়া ছুটিয়াছি ইহা যেন তাহাদের প্রাতঃকালীন ন্যায্য উপভােগ্য বিষয়ের অংশ। আমরা সহর অতিক্রম করিয়া পুনরায় পল্লীবীথির মধ্যে আসিয়া পড়িলাম। এখন বেলা। আটটা বাজিয়াছে। এখন রৌদ্রের তেজ ফুঠিয়াছে এবং প্রাত রাশের গুণে দেহের কলে তৈল পড়িয়াছে এবং জিহ্বার আড় ভাঙ্গিয়াছে। গার্ড তাহার তৈলাক্ত চুরুট টানিয়ার ফাকে দুএকটা মন্তব্য প্রকাশ করায় টম প্রােৎসাহিত হইল এবং তা ছাড়া সে নিজেও কথা কহিতে না পাইয়া অস্থির হইয়া উঠিয়াছিল। তাহার ঠিকানার খবর পাইবার জন্য আগ্রহে তাহার মন পরিপূর্ণ ছিল, অন্য চিন্তায় তাহার মন ছিল না, সুতরাং সে গার্ডকে রাগবির কথাই জিজ্ঞাসা করিল। “হ্যা সেখানে হররােজ যাচ্ছি। ভাটিতে ১২টা ১ মিনিটের সময় এবং উজানে ১০টার সময়”। টম জিজ্ঞাসা করিল “জায়গাটা কি রকম বল না ? গার্ড রহস্যের ভঙ্গিতে তাহার দিকে তাকাইল। নিতান্ত বেগানা জায়গা বাবু, রাস্তায় না আছে পাথর, না আছে আলাে। কোলে বড় ভারী মেলা হয়। ঘােড় ও গরুর মেলা। এক হপ্তা ধরে চলে। এই সবে শেষ হয়েছে, মেলার পর সহ সাফ করতে প্রায় এক হপ্ত লাগে। শিকারের জায়গা মন্দ নয়, কিন্তু বড় ঢিমে আয়গা, মশায়, বড় ঢিমে। সদর রাস্তা থেকে অনেক দুরে, বুঝলেন কি না, দিনে মােট তিনখানা গাড়ী, তার মধ্যে একটা মালগাড়ীরই সামিল দু ঘোড়ায় টানে। দেখলে গাড়ী না মনে হয়ে শৰগাড়ী বলে মনে হয়, রেগুলেটার বলে লোকে বলে, অক্সফোর্ড থেকে আসে। স্কুলের । । .-.-.