পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাগবি এবং ফুটবল। ১৯ “কেন ঐ যে বড় ছােকরা, যে ডিনারের সময় হাজরে নিল, সেই স্কুলের পাড় ; আর স্কুলবাড়ীর দলের সর্দার, তার তুল্য লাখিয়ে আর ‘ধাকিয়ে’ রাগবিতে আর দুটি নাই। “ভাই কোথায় খেলা হয় দেখাও না? আর আমাকে সব বলে দাও, আমি ফুটবল বড় ভালবাসি এবং বরাবর খেলে আসছি। ব্রুক কি আমায় খেলতে দেবে না ? ইষ্ট কিছু উষ্মর সহিত বলিল ; সে তেমন পাত্র নয় ; বেশী কথা | কি তুমি ত এখন নিয়মই জান না, নিয়ম শিখতেই ত তােমার মাস খানেক কেটে যাবে, তারপর ম্যাচ খেলা তামাসার কথা নয় তা তােমায় বলে রাখছি, তােমাদের সেই সব খাস স্কুলের খেলার সঙ্গে ঢের তফাৎ। আর জান এই ষষমাহায় দুজনের কার হাড় ভেঙ্গেছে ; আর জুন চব্বিশ খোড়া হয়েছে। আর বচ্ছর ত একজনের ঠেঙ্গই ভেঙ্গে গেছলাে।” গভীরতম সম্ভ্রমের সহিত টম এই দুর্ঘটনার পর্বাধ্যায় শুনিল এবং তারপর ইষ্টের সঙ্গে সমতল জমি পার হইয়া যেখানে দুটা খাম ১৮ ফুট উচু ১৪ ফুট অন্তর করিয়া মাটিতে পােতা, উপরে আড়ভাবে একখানা কাঠ প্রায় দুই হইতে দশফুট উচুতে বসান, মস্ত একটা ফাসী কাঠের মত খাড়া হইয়া আছে, সেইখানে আসিয়া পৌছিল। ইষ্ট বলিল “এই হচ্ছে একটা গােল আর ঐও পারে সিধা আচার্যের দেওয়ালের গায়ে আর একটা গােল ; ম্যাচের নিয়ম হচ্ছে তিন ৰাজির মধ্যে যে বেশী জিতবে অর্থাৎ যারা দুইটা গােল পাবে তাহাদেরই জিত। আর এই খুটির মধ্যে দিয়ে বল গেলেই হবে না ঐ আড়ার উপর দিয়া যাওয়া চাই। যতই উচু দিয়া যাক না, দুই খুঁটির মধ্যে থাকলেই হল। তােমাদের গােলে থাকতে হবে, যখন খুটি পার হয়ে বল গড়িয়ে যাবে