পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩ | ... । ম্যাচ খেলার পর। | ফুলবাড়ীর নিস্কুলের ছাত্রের সংখ্যায় জন পর, সর্দার দবােয়ানের তত্ত্বাবধানে নিয়-পঞ্চম স্কুল ঘরে চা খাইত, প্রত্যেক ছোকরা সিকি খানা পাউরুটি, একডেলা মাখন এবং যত ইচ্ছা চা পাইত, এবং প্রায় সকলেই কিছু না কিছু উপরি খােস খােরাক সংগ্রহ করিয়া আনিত, যথা আলুপােড়, হেরিং ক্ষিদা স্কাট মাছ, না হয় অমনি একটা কিছু, কিন্তু খুব কম ছেলেরই যষমাহের এমন দিনে এক পাউণ্ড সসেজ কিনিবার সামর্থ্য হইত, সুতরাং উহার বলে ইষ্ট আজ বড়ই জাকাইয়া বসিয়াছিল। সে তাহার পড়িবার ঘর থেকে টোষ্ট করিবার কাটা বাহির করিয়া আনিয়া টমকে সসেজ পেঁকিতে লাগাইয়া দিল। আর ততক্ষণ সে নিজে মাখন। ও আলুর পাহারায় নিযুক্ত রহিল। বুঝাইয়া বলিল যে “তুমি নতুন ছেলে 'কেউ তােমাকে ফাঁকি দিয়ে আমাদের মাখনটা হাতিয়ে নিতে পারে, কিন্তু সেঁকা আমিও যেমন করব তুমিও ঠিক সেই রকম করতে পারবে।” সুতরাং তদনুরূপ কার্যে ব্যাপৃত আরও তিন চারিটি ছােট ছােট ছেলের সহিত একটা মস্ত আগুনের ধারে টম সসেজ এবং তাহার মুখ যুগপৎ সেঁকিতে লাগিল, পরে যখন সেসজ ফাটিয়া গেল তখন ইষ্ট তাহার পাহারার মঞ্চ হইতে চেঁচাইয়া বলিল “ব হয়েছে। তারপর থানা চলিল এবং স্কুত্তির পেয়ালা ঘন ঘন ভর্তি ও খালি হইতে লাগিল, এবং টম সসেজের ছােট খাট টুকরা তাহায় প্লড়শীদের মধ্যে বিতরণ করিল, এবং মনে মনে ভাবিল যে এমন সুন্দর আলু আর এমন সব শূর্তিমান ছােকরা সে কখনও দেখে নাই, এবং তাহারাও সমস্ত লৌকিকতা উপেক্ষা করিয়া সসেজ এবং আলু বিলক্ষণ করিয়া তুসিল, এবং গােলের নিকট টমের পারদর্শিতার কথা স্মরণ করিয়া ইষ্টের নূতন সঙ্গী সঁাচ্চা ছােকরা বলিয়া অভিমত প্রকাশ করিল। চা খাওয়ার পর যখন বাসন পত্র সরান হইতেছিল তখন আগুনের চারিধারে জড় হইয়া তাহারা ম্যাচের কথাই গল্প করিতে লাগিল =