পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮ খােড়া হালকায় বসে। নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করিয়া ইষ্ট বলিল “ওহে মনে নিচ্চে যে তালাবন্ধের ঘনঘন হয়ে এসেছে, উঃ কি অন্ধকার!” টম বলিল “যদি আমাদের দেরি হয় কি হবে? ইষ্ট উত্তর করিল “চ। বন্ধু আর আচার্যের কাছে চালান আর কি। এ চিন্তা অবশ্য তাদের মনের প্রফুল্লতা বৃদ্ধি করে নাই, এমন সময় নিকটের ক্ষেত থেকে একটা ক্ষীণ ডাক তাহাদের কর্ণগােচর হইল, তাহারা সাড়া দিয়া থামিল, আশা যদি কোন অভিজ্ঞ চাষী তাহাদের পথ। দেখাইয়া দেয়, এমন সময় সামনে বিশ গজ অন্তরে একটা, ফটকের উপর দিয়া • হতভাগা বেঙ্গাচি কোন রকমে হামাগুড়ি টানিয়া আসিল, তখন তাহার ধাত-ছাড়া অবস্থা, খালে একপাটি জুতা হারাইয়াছে, খুজিতে গিয়া কনুই শক্ত কাদায় ভরিয়া গিয়াছে, বাস্তবিক বালকের আকারে এমন দুর্দশাগ্রস্থ জীব কচিৎ নয়নগােচর হয়। তথাপি তাহাকে দেখিয়া তাহাদের মন একটু প্রসন্ন হইল, কেননা তাহাদের চেয়ে তাহার দুর্গতি আরও চরমে পৌঁছিয়াছে । উহাদের দেখিয়া তাহারও মন প্রফুল্ল হইল, কেননা সারারাত একা মাঠে কাটাবার দুঃশ্চিন্তা তাহার মন হইতে দূর হইল। তখন কথঞ্চিৎ আশ্বাসের সহিত তাহারা তিনজন কষ্টে সেই অফুরন্ত গলিপথ ধরিয়া ছপাৎ ছলাৎ করিয়া চলিতে লাগিল, অবশেয়ে যখন অন্ধকার একেবারে নিবিড় হইয়া আসিল তখন পথটা একটু ফর্দা বােপ হইল, এবং তাহারা একটা বড় রাস্তায় আসিয়া পৌছিল, এবং সেখানে আসিয়া হতবুদ্ধি হইয়া থামিল, কেননা এখন তাহায় সম্পূর্ণ দিশাহারা হইয়া পড়িয়াছে, এবং ডাইনে কি বায়ে ফিরিবে তাহা স্থির করিতে পারিতেছিল না। বরাত ভাল যে তাহা নিজেদের আর স্থির করিতে হইল না, কারণ এই সময় একটি লণ্ঠন জ্বালাইয়া ও দুইটি বেতাে ঘোড়া ধুতিয়া রাস্তার