পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন।' দিয়া ডাক আসিল, বালকয় নীরবে পরস্পরের মুখ কাকি করিল, নয়টা বাজিয়াছে, সুতরাং নিয়মিত রাত-খাটানে চলিয়া গিয়াছে, এবং তাহারাই রাত্রি ভােজনকারীদের সকলের চেয়ে নিকটবর্তী। ইষ্ট খাড়া হইয়া বসিয়া ব্যঙ্গভরে মুখভঙ্গি করিল, কোন মুঝিলে পড়িলে এই তাহার স্বভাব। পুনরায় খাটানে” শব্দ, কোন উত্তর নাই। “এই-ও ব্রাউন, ইষ্ট, পাজি ফাকিবাজ ছােকরারা, আমি জানি ভিতরে আছিস, গাফিলি খাটবে না বলছি, শীগগীর এধারে আয়” বলিয়া ফ্ল্যাশমান গৰ্জন করিয়া তাঁহার খােলা দরজার কাছে আসিল। টম নিশাড়ে দরজার কাছে গিয়া আস্তে আস্তে হুড়কা আঁটিয়া দিল, ইষ্ট ফু দিয়া বাতি নিবাইয়া দিল, চুপি চুপি বলিল দরজা রােখো এইবার, কিন্তু টম মনে থাকে যেন ধরা দেওয়া হবে না কিছুতেই। টম দাতে দাত পিষিয়া বলিল “সে ভার আমার উপর। | মিনিট খানেকের মধ্যেই রাত্ৰিভভজনকারীদের দল ঘর হইতে বাহির হইয়া শরদালান দিয়া তাহাদের দুয়ারের কাছে আসিল। তাহার দম বন্ধ করিয়া শুনিল যে উহারা ফিসফিস করিয়া কিস বলাবলি করিতেছে, তাহার মধ্যে ফ্ল্যাশমানের এই কয়টি কথামাত্র তাহারা বুঝিতে পারিল, “আমি জানি আনােয়ার ভিতরে আছে”। তারপর দরজা খুলিবার জন্য তলব পড়িল এবং তাহাদের কোন সাড়া না পাওয়ায় দরজার উপর আক্রমণ শুরু হইল। সৌভাগ্যক্রমে দরজাটি পাকা ওক কাঠের থাকায় ফ্ল্যাশম্যানের ঈলের সমবেত শক্তি প্রতিহত করিল। একটু বিরামের পক্ষ তাহারা শুনিতে পাইল একজন অবরােধকারী বলিতেছে “ওরা বেশ নির্ভাবনায় আছে, দেখতে পাচ্ছ না ।

) ।