পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৪ | টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। দিয়া যাইতে ‘পাটাতন’ বলিয়া এক বিচিত্র সেকেলে একখানি তক্তারু সঁকোর উপর দিয়া নদী পার হইতে হইত, এই সঁকে। নদীর দুই ধারের ঘাসকর মাঠের ভিতর ৫০ গজ পর্যন্ত প্রসারিত ছিল, কেন না শীতকালে প্রায়ই বন্যা হইত। পাটাতনের’ উজান দিকে ছােট ছেলেদের স্নান করিবার সব যায়গা। স্লেথের ঘাট হইল প্রথম, এইখানে নূতন ছেলেদের শিক্ষারম্ভ করিতে হইত, যতদিন আন-করানিয়াদের মতে তাহারা বেশ চলনসই রকম সঁতার কাটিতে না শিখিত। এই গনকরানিয়া তিনজন পাকা লােক, কোন দুর্ঘটনা না ঘটে সে জন্য সারা গ্রীস্ম প্রত্যহ হাজির থাকিবে বলিয়া ইহাদের মহিনা করিয়া রাখা হইয়াছিল। ঐখানকার শিক্ষা সম্পূর্ণ হইলে তখন ছেলেদের প্রায় দেড়শ গজ ভাটির দিকে এনষ্টির ঘাটে যাইতে দেওয়া হইত। এইখানে আন্দাজ ৬ ফুট গভীর ও ১২ ফুট চৌড়া একটা গর্ত ছিল, তার উপর দিয়া ছোট ছেলেরা হাঁস ফাস করিতে করিতে প্রাণপণ চেষ্টায় পারাপার হইত এবং ডুব জলে গিয়াছে বলিয়া কতই না বাহাদুরি করিত। পাটাতনের নীচের দিকে বড় বড় এবং বেশী গভীর দগুলি ছিল ; প্রথমটা বাটিয়ের, এবং শেষটা সুইফটের এবং এইটিই বিশেষ নামজাদা, স্থানে স্থানে দশ ফুট গভীর, এবং আড়ে ত্রিশ গজ, এবং এখান থেকে সটান ময়দার কল পর্যন্ত একটা সাতারের পাল্লা হিল সুইফটের দ’ ষষ্ঠ ও পঞ্চম ফরমের ছােকরাদের জন্য স্বতন্ত্রভাবে নির্দিষ্ট ছিল, এবং ইহাতে একটা লাফাইবার পাটাও দুক সিড়ি ছিল ; অষ্ট অন্ত গুলিতে, কেবল এক থাক করিয়া সিড়ি ছিল, এবং এই সকল ঘাট নিম্ন বিভাগের ছাত্র মাত্রেই নির্বিশেষে ব্যবহার করিত। তবে প্রত্যেক হাউসেরই একটা না একটা ঘাটের উপর বেশী কম ছিল। এই সময় স্কুল-বাড়ীর ছেলে ব্যাটিসলয়ের দ’কেই বেশী পছন্দ