পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দৈবদুর্বিপাকের এক পর্ব। * , ২৫৫ মাঝখানে বলিয়া উঠিল “আজ্ঞে, আমি খালি ভেলভেটীন বলে ডেকে ছিলাম”। আচাৰ্য একটা মাত্র প্রশ্ন করলেন। “নদীর পাড়ের নিয়ম তুমি জান, ব্রাউন”? “আজ্ঞে, হাঁ”। “তা হলে কাল প্রথম পাঠের পর আমার জন্য অপেক্ষা করাে”। টম মনে মনে বলিল “আমিও তাই ভেবেছিলাম।” | আগলদার তখন বলিল “আজ্ঞে, তাহলে ছিপগাছার কি হবে? আমাদের মনিব বলেছেন যে আমরা সব ছিপ কেড়ে নিতে পারি । টম বলিয়া উঠিল “আজ্ঞে না, দোহাই, ও ছিপ আমার নয়”। আচাৰ্য্য একটু পরে পড়িলেন, কিন্তু আগলদার লােকটার মনটা ভাল ছিল, সে টমের সুস্পষ্ট কাতরতায় গলিয়া গিয়া ছিপের দাবি ত্যাগ করিল। পরদিন সকালে টম বেত খাইল এবং কয়েক দিন পরে সূতীমখমলের সঙ্গে দেখা হইলে, ঐ ছিপের দাবি পরিত্যাগ করার জন্য তাহাকে এক হাফ ক্রাউন বখশীষ দিয়া তাহার সহিত মিত্ৰতাসূত্রে বদ্ধ হইল, এবং আমাকে দুঃখের সহিত বলিতে হইতেছে যে তারপর মে-ফ্লাই মরশুমে সেই উইলােগাছের তলায় টম বহুতর মাছ ধরিয়াছিল, কিন্তু আর একবারও সূতীমখমলের হাতে পড়ে নাই। ইহার পর তিন সপ্তহে হইতে না হইতেই টম এবং ইষ্ট কম্পিত চিত্তে আবার হুজুরে হাজির হইল। এবার যা হউক আচাৰ্য্যকে তেমন ভীষণ বােধ হইল না। কয়েক দিন পূর্বে ফাইভস খেলার কোটের বাহির হইতে বল কুড়াইবার জন্য তাহাদের খাটানি খাটিতে হইয়াছিল। তাহারা যখন দাঁড়াইয়া খেলা দেখিতেছিল তখন দেখিতে পাইল যে পাঁচ ছয়টা প্রায় নূতন বল স্কুলের ছাদের উপর গিয়া পড়িল। তাহারা