পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬১ দৈব দুর্বিপাকের এক পর্ব। তারা যদি উত্তরােত্তর চরিত্রবল ও মনুষত্ব না লাভ করছে দেখি, তা হলেও ত আমি তাদের থাকতে দিতে পারি না। আর এক বছরের মধ্যে তারা ছােট ছেলেদের সমূহ ক্ষতি করতে পারে।” শিক্ষক অনুনয়ের স্বরে কহিল “আহা, আশা করি আপনি তাদের তাড়িয়ে দিবেন না”। “নিতান্ত অপাৰ্য্যমান নৈলে নিশ্চয়ই নয়। কিন্তু এখন আর এমন ভরসা হয় না যে কোন দিন হাফ-ইস্কুল হলে, নিতান্ত না বুঝে সুকে নির্বোধের মত কি একটা অনর্থ ঘটানর দরুণ পরদিন সকালে তাদের একজন না, একজনকে আমার বেত মারতে হবে না। ওদের কাকেও এখন দেখলেই আমার আতঙ্ক হয়”। মিনিট খানেক উভয়েই চুপ করিয়া রহিলেন। পুনরায় আচাৰ্য বলিতে লাগিলেন “তাহারা মনেই করে না যে স্কুলে তাহাদের কোন কায, কোন কৰ্ত্তব্য করবার আছে। এ বােধ তাদের কিসে হয়? ‘আমার মনে হয় যদি ওদের কাহারও একটি ছােট ছেলের ভার নিতে হয়, তা হলে বুঝি ওরা অনেকটা সমঝে আসে। আমার মনে হয় ওদের দুজনের মধ্যে ব্রাউনই যেন বেশী হঠকারী, ওর সঙ্গ ছাড়া হলে ইষ্ট অত ফোদে পড়বে না।" | কতকটা দীর্ঘ নিশ্বাসের মত ফেলিয়া আচাৰ্য বলিলেন “আচ্ছা, আমি কথাটা ভেবে দেখব”। অনন্তর তাহারা অন্য বিষয়ে আলাপ করিতে লাগিলেন।