পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. ২৭• | টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। প্রাধান হেতু। আচাৰ্য্য কিনা জানিতেন, আর তার কি মহৎ ব্যবহারই না তিনি সব সময়ে করিতেন? টম প্রায় স্থির করিয়া ফেলিল যে অতঃপর রুপাই ও রাত-তগী সে বর্জন করিবে। চা-পান মহাস্থত্তির সহিত চলিতে লাগিল, আচাৰ্য্য কখন ছুটির গল্প করিতে লাগিলেন, কখন বর্তমান ষষমাহার কিরূপ আশা ভরসা, বা ব্যালিয়ল কলেজের বৃত্তি পাইবার কিরূপ সম্ভাবনা, বা এ বৎসর ক্রিকেটের একাদশ কিরূপ বাড়াইবে, সেই সব বিষয়ের আলােচনা করিতে লাগিলেন। প্রত্যেকেই বেশ স্বচ্ছন্দ বােধ করিতে লাগিল এবং প্রত্যেকই অনুভব করিল যে সে যেমনই ছোট হউক এই ক্ষুদ্র ঋল-জগতে তাহার কিছু না কিছু প্রয়ােজন আছে, তাহার নির্দিষ্ট একটা কযও আছে। চা-পান শেষ হইবার অল্পক্ষণ পরেই আচাৰ্য্য তাহার অধ্যয়নকক্ষে গমন করিলেন এবং ছােট ছেলেটিও কয়েক মিনিট বাদে বিদায় লইয়া যে নিজ দুয়ার দিয়া আচার্যের বাসগৃহ হইতে স্কুল-বাড়ীর মাঝের ফরদালানে আসিয়া পড়া যায় সেই দিক দিয়া নিষ্ক্রান্ত হইয়া গেল। দরদালানের সেই সে ধারে, অগুনের কাছে, এক দঙ্গল ছােকরা খুব হসি গল্প করিতেছিল ঐ দুয়ার খােলায় হঠাৎ সকলে থামিয়া গেল, তারপর টমকে দালান দিয়া চলিয়া যাইতে দেখিয়া সমুচ্চ কোলাহলে তাহার সম্বর্ধনা করিল। “কিহে ব্রাউন, তুমি কোথেকে”। টম বিশেষ মর্যাদার সহিত বলিল “এই আচার্যের ওখান থেকে চা খেয়ে আসছি”। ইষ্ট বলিল, “ইস তাইত। তাই বুঝি মেরী তােমাকে ডাকলে আর জাতীয় পৰিকে বড়।