পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। | । স্রোত ফিরিল। ২৭ ছােট ছেলের পক্ষে বড় অল্প সাহসের কথা ছিল না। কয়েক বৎসর পরে আর্নডের পুরুষােচিত ধর্মনিষ্ঠা স্কুলে সংমিত হইলে পর, সম্পূর্ণ অবস্থান্তর ঘটিয়াছিল বটে, এবং তাহার মৃত্যুর পূর্বে অন্ততঃ স্কুলবাড়ীতে, এবং আমার বিশ্বাস অন্যান্য বাড়ীতেও ভিন্ন রীতিরই প্রতিষ্ঠা হইয়াছিল, কিন্তু বেচারী টম যখন স্কুলে আসে সে সময়ের কথা স্বতন্ত্র। আসিবার পর প্রথম কয়রাত্রি গােলমালের দরুণ সে হাঁটু গাড়িয়া প্রার্থনা করিতে বসে নাই, কিন্তু বাতি নিভান পর্যন্ত বিছানায় বসিয়া থাকিত, এবং তার পর আস্তে আস্তে নামিয়া গিয়া প্রার্থনা করিত, ভয় পাছে কেহ দেখিয়া ফেলে। আরও কত ছােট ছেলে বেচারীরাও ঐরূপ করিত। তারপর সে মনে ভাবিল যে বিছানায় প্রার্থনা করিলেই ত চলিতে পারে তারপর ভাবিল যে হাঁটুগাড়িয়াই করি, কি বসিয়াই করি, কি শুইয়াই করি, তাহাতে কি আসে যায়। এবং অবশেষে যাহারা লোকের সমক্ষে মহাপ্রভুকে অঙ্গীকার করিতে চায় না, তাহাদের যে দশা হয়, টমের ও সেই দশা ঘটিল। এবং গতবৎসর সে মনের সঙ্গে দশ বার বার ও প্রার্থনা করিয়াছে কিনা সন্দেহ। হায় টম। সে সর্বাগ্রেই উপলব্ধি করিল যে সে কি কাপুরুষের মতই কাৰ্য্য, করিয়াছে, এবং সেই মনস্তাপে তাহার হৃদয় যেন ফাটিয়া যাইতে লাগিল। যে দোষকে সে অন্য সকল দোষ অপেক্ষা ঘৃণা করে, সেই দোষই তাহার অন্তরে অনুপ্রবিষ্ট হইয়া মৰ্ম্মের মধ্যে আগুনের দাগা দিয়া গেল। সে তাহার মায়ের কাছে মিথ্যাবাদী, তাহার ধর্মের কাছে মিথ্যাবাদী, তাহার ভগবানের কাছে মিথ্যাবাদী! একি সহ্য হয় ? আর সেই যে বেচারী ছােষ্ট দুৰ্বল ছেলেটি, যাহাকে সে দয়ার পাত্র বলিয়া মনে করিয়াছে, যাহার দুর্বলতার জন্য সে যাহাকে অবজ্ঞা। করিতেই বসিয়াছিল, সে এমন কাষ করিল যা দাম্ভিক তিনি, তাঁহার ৮ ।