পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লড়াই। ৩৬ ] । ব্রুক তাহার দিকে ঘাড় নাড়িয়া বলিল “কি হে, ব্রাউন, কেমন বােধ করছ। | “না, মন্দ নয়, ধন্যবাদ, কেবল এই বুড়াে আঙ্গুলটা মচকে গেছে বলে মনে হচ্ছে।” “লড়তে গেলে ওরকম হয়েই থাকে। যা আমি যতটা দেখলাম তাতে ত তুমি কম যাচ্ছিলে না। ও প্যাটা কোথায় শিখলে। * “ওঃ আমাদের দেশে, যখন ছেলেমানুষ ছিলাম।” “বাঃ রে! ছেলেমানুষ ছিলে—এখন তুমি তবে কি ? যাক তুমি বেশ সাহসী ছােক। এখন ব’সস একটু কিছু খাও।” টম অবশ্য বিনা আপত্তিতে আদেশ পালন করিল। তাহার পাশের একজন পঞ্চম ফৰ্ম্মার ছােকরা বােতলের বীয়ারে গেলাস ভর্তি করিয়া দিল, এবং সে পানাহার করিতে করিতে খােস গল্প সব শুনিতে লাগিল, এবং বিস্ময়ের সহিত মনে মনে করিত লাগিল যে আর কতদিনে পঞ্চম ফৰ্ম্মায় উঠিবে এবং সেই বহু ঈষিত সমাজে একজন হইবে। | যখন সে বিদায় লইবার জন্য উঠিয়া দাড়াইল, ব্রুক বলিল “কাল সকালে তােমাদের হাত মেলাতে হবে। আমি প্রথম পাঠের পর এসে সব মিটিয়ে দেব অখন।” | তাই হইল। টম ও সুগার বেশ প্রসন্নচিত্তে এবং পরস্পরের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা সহকারে করমর্দন করিল , এবং ইহার বছর দুবছরের মধ্যে যখনই লড়াইয়ের কথা উঠিত, যে সব ছােট ছেলেরা এক্ষেত্রে উপস্থিত ছিল, বিজ্ঞের মত ঘাড় নাড়িয়া বলিত “হ, কিন্তু যদি তােমরা সুগার উইলিয়ম ও টম ব্রাউনের লড়াই দেখতে, ত বলতে।” এখন, বালকগণ, আমি গােটা দুই তিন কথা বলিয়া এ প্রসঙ্গ ত্যাগ করিব। আমি বিদ্বেষমূলক লড়াইয়ের সম্বন্ধে এই অধ্যায়টির অবতারণা 4