পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৪২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

= 1 র শেষ ম্যাচ খেলা। ৪২ তিনি অৰ্দ্ধাংশেও সেইরকম দিলদার লােক থাকিয়া থাকেন। দৃশ্যটি বড় সুন্দর হইলেও একাদশের কাপ্তেনের কাছে আরও মূল্যবান হইয়াছিল এইজন্য যে তিনি দেখিলেন যে এইভাবে খােলামাঠে হাত ধরাধরি করিয়া একসঙ্গে নাচিয়া কুঁদিয়া তাহার ছােকরা খেলােয়ারদের লর্ডসের লােকদের কাছে যে একটা সমীহ ও জড়সড়-ভাব ছিল তাহা কাটিয়া যাইতেছে ; কারণ বিদেশীরা চুরুট ফেলিয়া এই ব্যাপারে প্রাণ খুলিয়া যােগ দিয়াছিল এবং ছেলেদের মতই সমান তালে নৃত্য ও চীৎকার করিতেছিল; আর ততক্ষণ বুড়া এইসল্যাবি সাহেব শাদা হাট মাথায় দিয়া, ব্যাটে হেলান দিয়া উদার প্রসন্নতার সহিত সমস্ত দেখিতেছিলেন। আমাদের স্কুলের নেতা মনে মনে বলিয়াছিলেন এই লাফাঝাপিতে আমাদের কাকের ত্রিশ রণের সা’ত হয়ে রইল, আর এতে করে ব্যাগলস ও জনসন বনে’ উঠবে” এবং আরও নানা কথা ভাবিতেছিলেন। তবে তিনি এইসল্যাবি সাহেবের এক মিনিটের তরেও কাছছাড়া হইতেছিলেন না, কারণ তিনি জানিতেন যে সমস্ত স্কুলের শিষ্টাচারের সুনাম তাঁহার স্কন্ধেই ভ্যস্ত রহিয়াছে। | কিন্তু যখন পৌনে নয়টা বাজিল, কাপ্তেন দেখিলেন বুড়া টমাস চাবি হাতে উথুস করিতেছে, তখন আচার্যের বিদায়কালীন শাসনবাক্য স্মরণ করিয়া, চারিধার হইতে উচ্চ প্রতিবাদ সত্বেও, তিনি তৎক্ষণাৎ কর্ণোপিয়ন বাদ্য বন্ধ করিয়া দিলেন; তখন ময়দান হইতে জনতা ভাঙ্গিয়া গেল, এবং একাদশের সকলেই স্কুল বাড়ীতে গেল, কারণ আচার্যের আদেশে সেই খানেই তাহাদের শয়ন ও সায়মাশের ব্যবস্থা হইয়াছিল। সায়মাশের সময় নানা বিষয়ে গভীর মন্ত্রণা হইল—কি পর্যায়ে থেলিতে যাওয়া হইবে, প্রথমদানে কে দিবে, সমঝিয়া খেলাই ভাল না স্বচ্ছন্দে খেলাই ভাল, ইত্যাদি। আর অল্পবয়সীরা জোর করিয়া বলিতে লাগিল