৫৭
নানা বিগ্রহ ও সন্ধি। জোতদার আইভস এই শেষােক্ত শ্রেণীর লােক। এই গুণী লােকটির কাছে উমকে যথারীতি সঙ্গে লইয়া বেঞ্জি পূর্ববর্তী অধ্যায়ে যে মেলার বিবরণ দেওয়া হইয়াছে তাহার পরবৎসরে বসন্তের প্রারম্ভ ভাগে গমন করিল। কেন যে লােকে তাহাকে জোতদার বলিত তাহা আমি খুজিয়া পাই না, তবে যদি তাহার একটা গরু, গােটা দুই শুকর, কয়েকটা গৃহপালিত পক্ষী ছিল বলিয়া হয়, বলিতে পারি না। এই গুলি লইয়া খাসপতিত ডাঙ্গার মধ্যভাগে এক একর আন্দাজ জমি ঘিরিয়া সে বাস করিত। সম্ভবতঃ জমিদারগণের তাহাদের স্বত্বস্বত্ব বিষয়ে ততদূর দৃষ্টি পড়িবার পূৰ্ব্বে তাহার পিতা এই স্থানে আড্ডা গাড়িয়াছিল। অনেক সময় গুজব উঠিত যে তাহাকে চাল কাটিয়া উচ্ছেদ করা হইবে, কিন্তু কি কারণে জানি না উহা কাজে ঘটিয়া উঠে নাই। সুতরাং তাহার শূয়া গৰু পূর্বাপর অপ্রতিবাদে ডাঙ্গায় চরিত এবং তাহার রাজহাঁসগুলা চলন্ত ছেলেদের দেখিয়া হিস হিস করিত, এমন কি জমিদারের নায়েব মহাশয় যখন এই বেড়টির দিকে লােলুপ দৃষ্টি ফেলিতে ফেলিতে ঘােড়ায় চড়িয়া যাইতেন তখন হাঁসগুলা তাহার ঘােড়ার দিকে কঁাক কঁাক করিয়া ডাকিতে ছড়িত না। তাহার বাড়ী আমাদের গ্রাম থেকে কয়েক মাইল দূর, এবং বেঞ্জি এইরূপ বরাতে ততদুর হাঁটতে পারে না, সুতরাং নিজেকে এবং টমকে লইয়া লােকের সন্দেহ উদ্রেক না করিয়া কিরূপে সেখানে পৌঁছিবে সে সম্বন্ধে তাহাকে অনেক বুদ্ধি খাটাইতে হইয়াছিল। যাই হক মে মাসে একদিন সকাল বেলায় সে তার বন্ধু সরাই ওয়ালার কাছ থেকে তাহার বুড়া। কানা টাটু যােঙটি কোন সুযোগে চাহিয়া লইল এবং টমও সেদিন মাকে বলিয়া দুটি লইয়া ফোয়ার মহাশয়ের হালকা দোচাকা শকট পানি এবং কিছু ক্ষটি, বাসি মাংস এবং এক বােতল এল সংগ্রহ
