পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩১ নানা বিগ্রহ ও সন্ধি। হাসিমুখে চারিদিকে তাকাইয়া ঘাড় নাড়িতে লাগিল। মাষ্টার মহাশয় দরজার দিকে পিছন করিয়া একজন ছাত্রের শ্লেটের উপর ঝুকিয়া কি দেখিতেছিলেন, হাং তিনি একটা বৈলক্ষণ অনুভব করিয়া ত্বরিতে ফিরিয়া গড়াইলেন, টম ছুটিয়া জেকবের উপর পড়িয়া তাহার পিরান ধরিয়া হিড়হিড় করিয়া তাহাকে টানিয়া লইয়া যাইতে লাগিল, এবং মাষ্টার মহাশয় ও বেঞ্চি এবং বই ছত্রাকারে বিক্ষিপ্ত করিয়া সেই দিকে বেগে ধাবমান হইলেন। এখনও তাহারা পলাইতে পারি কিন্তু সেই বু চাকা ওয়ালা যে এতক্ষণ তাহাদের কাণ্ড কারখানা লক্ষ্য করিতেছিল পিছন দিক হইতে দলিজে আসিয়া তাহাদের পথ রােধ করিল, সুতরাং তাহারা ধরা পড়িয়া স্কোয়ার মহাশয়ের কাছে আসামীস্বরূপে নীত হইল, সঙ্গে সঙ্গে স্কুলের ছুটি হইয়া গেল, এবং ছেলের দল দুচার জন করিয়া মলিয়া ইহার ফলাফল কিরূপ হইবে জল্পনা করিতে করিতে গেট পর্যন্ত তাহাদের অনুন কলি।। | স্কোয়্যার মহাশয় প্রথমে বড়ই চটিয়া উঠিয়াছিলেন, কিন্তু অবশেষে টমের কাকুতিমিনতিতে একটা রফা নিষ্পত্ত্বি হইল। বেলা তিনটা পর্যন্ত ট স্কুলের ধারে যাইতে পারিবে না এবং তারপর যদি পড়া ভাল করিয়া তৈয়ার করে কেবল তাহা হইলে স্কোয়ার মহাশয়ের নিকট হইতে মাষ্টার মহাশয়ের নামে একখানি চিঠি লইয়া যাইবে। সেরূপ স্থলে মাষ্টার মহাশয় স্বীকার করিলেন যে তিনি স্কুল আঙ্গিবার ঘণ্টা খানেক পূৰ্ব্বে দশ বার জন ভাল ভাল ছেলেকে বেড়ের মধ্যে খেলা করিবার জন্য ছাড়িয়া দিবেন। চাকাওয়ালার বাইশ এবং চড়ই পাখীর উপর টম কোনরূপ হস্তক্ষেপ করিতে পারিবে না। তখন সেই মুরুব্বি এবং মাষ্টার মহাশয় তাহাদের উদ্দেশ্য সিদ্ধিতে মহা হৃষ্ট হইয়া চাকরদের হল ঘরে গিয়া স্কোয়ার মহাশয়ের স্বাস্থ্য পান করিয়া প্রস্থান করিলেন। না।