পাতা:টল্‌ষ্টয়ের গল্প - দুর্গামোহন মুখোপাধ্যায়.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪ টল্স্টয়ের গল্প বড় বড় অক্ষরে ছাপা একখানি বাইবেল কিনিয়। আনিয়া পড়িতে লাগিল।

প্রথমে সে মনে করিল যে, কেবল রবিবার ও অন্ঠান্ত ছুটির দিনই পড়িবে । কিন্তু একবার পড়িতে আরম্ভ করিয়াই তার মনের ভার এতই কমিয়া গেল যে, সে রোজ পড়িতে লাগিল। কখনও কখনও সে পড়ায় এতই ডুবিয়া থাকিত যে, প্রদীপের তৈল সব পুড়িয়৷ গেলেও পড়। ছাড়িয়া উঠিতে চাহিত না । রোজ রাত্রেই পড়া আরম্ত করিল; যতই পড়িতে লাগিল ততই কি করিয়া শুধু ভগবানের জন্তই নে বাচিয়া থাকিবে তা” স্পষ্ট করিয়া বুঝিতে লাগিল। ক্রমেই তার মন হান্কা হইতে লাগিল। পুবেব তার ছোট ছেলে ক্যাপিউনের কথা ভাবিতে ভাবিতে মনট। ভার করিয়া শুইতে যাইত, কিন্তু এখন শুইবার সময় সে বারে বারে বলিত--“ভগবান্, তোমারই জয়-__ তোমারই জয় ।”

সেই সময় হইতে মার্টিনের জীবনের গতি বদ্লাইতে লাগিল । পুরে ছুটির দিনে মে দোকানে গিপ্া চা খাইত ; এমন কি মাঝে মাঝে ছুই-এক গ্লাস মদ খাইত, কখনও কখনও কোনও বন্ধুর সঙ্গে মদ খাইয়া রাস্তায় আবোল-গাবোল বকিতে বকিতে যাইত, আর খুব মাত লামি করিত; কিন্তু এখন তার এই সব দোষ একেবারে দূর হইয়া গেল। সে সম্পূর্ণ নূতন ধরণের লোক হইয়া পড়িল। তার জীবনে এখন কেবল শাস্তি ও আনন্দ । সকালবেলা সে কাজ করিতে বসিত। সমস্ত দিন পরে তার কাজ যখন শেষ হইত সে দেওয়াল হইতে আলোকটি নামাইয়া টেবিলের উপর রাখিত এবং তাক হইতে বই আনিয়া পড়িতে বসিত। যতই সে বেশী পড়িতে লাগিল, সে ততই বেশী বুঝিতে