পাতা:টল্‌ষ্টয়ের গল্প - দুর্গামোহন মুখোপাধ্যায়.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ টল্সগ্নৈর গল্প

স্থির করিতে পারিল না। তারপর আলোট? নিবাইয়। দিয়া শুইয়া পড়িল ৷

ভোর হইবার অনেক আগে সে জাগিয়! উঠিয়! প্রার্থনা শেষ করিল, পরে আগুন জ্বালিয়া কপির ঝোল তৈয়ার করিল। তারপর ষ্টোভ, জ্বালিয়া, কোমরে কাপড় জড়াইয়া জানালায় বসিয়া কাজ করিতে লাগিল। রাত্রের ব্যাপারটা কখনও স্বপ্ন বলিয়া বোধ হইল, আবার কখনও বা মনে করিল যে, সত্য সত্যই সে তারই বাণী শুনিতে পাইয়াছে। সে মনে করিল, 'এ রকম দৈববাণী পূর্বেও ত শোনা গেছে ।

সে কাজ করিতে লাগিল বটে, কিন্তু কাজের চেয়ে বেশী মন দিল রাস্তার দিকে, কেবলই সে রাস্তার দিকে চাহিতে লাগিল। যখনই কোনও লোক এমন জুতা পায়ে দিয়া যাইত যে, সে জুত। দেখিয়। লোক চিনিতে পরিত না” তখনই হেট হইয়া! চাহিয়া দেখিত-__ পথিকের আগাগোড়া ঠাহর করিয়া দেখিত। এক বাড়ীর এক দরোয়ান একজোড়া নৃতন ভূতা৷ পরিয়া চলিয়া গেল, তারপর গেল একজন ভিস্তী। একটু পরেই একজন খুব বুড়া সেপাই কোদালি লইয়া তার জানালার কাছে আসিল । তার জুতা দেখিয়াই মার্টিন তাকে চিনিল। তার জুতা নিতান্ত অপরিষ্কার, পুরাতন, তার সব জায়গায় তালি-মারা। এই বৃদ্ধ সৈনিকের নাম ট্টেপানিচ। মার্টিনের বাড়ীর কাছেই একজন বণিক তাকে রাখিয়াছিল। মার্টিনের জানালার সামনে রাত্রে যে বরফ পড়িয়াছিল তাই সে ভোরে পরিষ্কার করিতে আসিয়াছিল। মার্টিন তার দিকে

একধার চাহিয়া দেখিল, তারপর আবার নিজের কাজ করিতে লাগিল।