পাতা:টল্‌ষ্টয়ের গল্প - দুর্গামোহন মুখোপাধ্যায়.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
১৮
‌টল্‌স্টয়ের গল্প

চীৎকার করিতে লাগিল । মার্টিন জুতা সেঙ্গাই বন্ধ রাখিয়া, চশমাটা। তাড়াতাড়ি খুলিয়া! রাখিয়া, দরজা খুলিয়। ছুটিয়া! রাস্তায় বাহির হইল । ছেলেট। হাত ছাড়াইবার জন্য টানাটানি করিতেছে । বুদ্ধ স্্রীলোকটি তার চুল ধরিয়া টানিতেছে এবং পুলিসের হাতে দিবে বলিয়া শাসাইতেছে । আর ছেলেটা বলিতেছে--“আমি নিই নি, তুমি আমায় কিসের জন্য মার্ছ ? আমায় ছেড়ে দাও ।?

মার্টন গিয়া তাদের ছাড়াইয়া দিল? বালকটির হাত ধরিয়া সে বলিল--“ওকে ছেড়ে দাও, দিদি, ওকে এবার ক্ষমা কর।”

স্লীলোকটি বলিল--“ওকে এমন শিক্ষা দেবো যে, একবছরে ত। না ভুলে যায় । বদ্মায়েসটাকে পুলিসের হাতে দেবো ।”

মার্টিন তাকে অনেক মিনতি করিয়া বলিল--“গুকে ছেড়ে দাও, ৪ আর কখনও এ রকম করবে না। ওকে এবার যেতে দাও |”

বালকটিকে বৃদ্ধা ছাড়ি দিল। সে পলাইয়া৷ যাইতে চেষ্টা করিল, কিন্ত নার্টিন তাঁকে থামাইল।

সে বলিল-_-“দিদির কাছে ক্ষমা চাও, আর এ কাজ কখনও ক'রো৷ না। আতাটা নিতে আমি তোমায় দেখেছিলুম 1”

বালকটি কাদিয়। ফেলিল, ক্ষমা চাহিল। মার্টিন বলিল--ব্যস্‌ ঠিক হয়েছে । এই নাও একটি আতা .”

মার্টিন বাকা হইতে একটি আতা তুলিয়া ছেলেটির হাতে দিয়া বলিল--“এর দাম দিদি, তোমায় আমি দেবো?খন্‌।”

বৃদ্ধা বলিল--“এই সব পাজি ছেলেগুলোকে তোমরাই এরকম ক'রে মাটি করবে । যাতে অনেক দিন মনে থাকে এমনি ভাবে ওকে বেত মার! উচিত ছিল ।”

মার্টিন বলিল---দিদি, সেটা হচ্ছে আমাদের ব্যবস্থা, ভগবানের