পাতা:টল্‌ষ্টয়ের গল্প - দুর্গামোহন মুখোপাধ্যায়.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
‌টল্‌স্টয়ের গল্প
১৯

ব্যবস্থা তা নয়। যদি একট| আতা চুরির জন্তে ও ছোড়াকে মারতে হয়, আমাদের পাপের জগ্ঠ কি ব্যবস্থা করা হবে ?%

বৃদ্ধ। চুপ করিয়া রহিল, মার্টিন তাকে যীশুখুষ্টের ক্ষমার কাহিনী অনেক শুনাইল। সেখুব মন দিয়! পেইগুলি শুনিল । বালকটিও কাছে দ্াড়াইয়। শুনিতেছিল ।

মার্টিন বলিল-_“ভগবান্‌ আমাদের ক্ষমা করতেই শিক্ষা দিয়েছেন, নইলে আমরাও ক্ষমা চাইতে পারব না। প্রত্যেককে ক্ষমা করু বিশেষতঃ যে ছে।ট, যে অবোধ, তাকে সব চাইতে বেশী ক্ষমা কর।”

বৃদ্ধা মাথ। নাড়িয়া দীর্ঘনিংশ্বান ফেলিয়া বলিল-_-"এ খুবই সত্যি কথা, কিন্তু এরা যে ভয়ানক খারাপ হচ্ছে ?”

মার্টিন উত্তর করিল-_“সেজন্য ওদের সংপথ দেখিয়ে দিতে হবে ।”

বৃদ্ধা বলিল--“আমিও ঠিক এই কথাই বলি। আমার নিজেরও সাতট। ছেলে-মেয়ে ছিল ; এখন মোটে একটা মেয়ে বেঁচে আছে ।”

কোথায় কিরূপভাবে সে মেয়ের সঙ্গে ছিল এবং কতগুলি নাতি ও নাতিনী তার ছিল মার্টিনকে সে তা বলিল-_

“আমার এখন আর শক্তি নেই, তবু সেই নাতি-নাতিনীগুলোর জন্য বড্ড খাটতে হয়, তারা বড় ভাল ছেলে-মেয়ে। ছেলে-মেয়ে ছাড়! আর কেউ আমার কাছে আসে না। সেই ছো্রয়্যানিটা আমাকে ছেড়ে আর কারও কাছে যাবেনা” এই সকল কথা বলিতে বলিতে তার মনটা নরম হইল ।

সেই ছেলেটার কথ। উল্লেখ করিয়া বলিল--“অবশ্থয এট ওর ছেলেমান্থুধী, ভগবান্‌ ওকে স্ুমতি দিন।”

বুড়ীটা তার বোঝা পিঠে তুলিয়া লইতে গেল। সেই বালকটি তখন তার সম্মুখে গিয়া বলিল--“ঠাকৃমা, আমিই বয়ে দেবখন ; আমিও এ পথে যাচ্ছি।”