পাতা:টল্‌ষ্টয়ের গল্প - দুর্গামোহন মুখোপাধ্যায়.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
২০
‌টল্‌স্টয়ের গল্প

বুড়ী খুসী হইয়া বস্তাট! বালকটির পিঠের উপর তুলিয়া দিল এবং ছুইজনে একত্রে সেই রাস্তা দিয়া চলিয়া গেল। যাইবার সময় মার্টিনের কাছ থেকে আতাটার দাম নিতে বুড়ী ভুলিয়। গেল। মার্টিনও অন্যমনে তাদের দ্রিকে চাহিয়। দীাড়াইয়া রহিল ।

তারা অনেক দুরে চলিয়া চোখের বাহির হইয়৷ গেলে মার্টিন ঘরে ফিরিয়া আসিল। ছুটিয়৷ বাহিরে যাইবার সময় সে তার চশমা ও ফৌড় পিশড়ির উপরেই ফেলিয়া! গিয়াছিল। সেইগুলি কুড়াইয়া আনিয়া আবার কাজ করিতে বলিল, কিন্তু একটু কাজ করিতে না৷ করিতেই সন্ধ্যা হইয়া আসিল। সেলাই আর দেখা যায় না। একটু পরেই চাহিয়া দেখিল যে, রাস্তায় আলে জ্বালিতে আসিয়াছে ।

মার্টন ভাবিল--“বোধ হয় এখন আলো! জ্বাল্বার সময় হয়েছে ।”

তখন উঠিয়া আলোটি পরিষ্ষার-পরিচ্ছন্ন করিয়া আবার কাজ করিতে বদিল। একজোড়া জুতা শেষ হইয়া গেল। সেইট। ঘুরাইয়া-ফিরাইয়া একবার দেখিল। দেখিল বেশ হইয়াছে, তার পরে যন্ত্রপাতি জড় করিল, চাঁমড়ার কুঁচিঞচলি নব ঝাড়িয়। ফেলিয়া সৃতা-বুরুশ সরাইয়া রাখিল। পরবে ন্মালোটি নামাইয়া টেবিলের উপরে বসাইল। তাকের উপর হইতে বাইবেল নামাইয়া আনিল। আগের দিন যেখানে পড়িয়াছিল, সেখানে এক টুকৃবা মরকো চামড়া দিয়া চিহ্ন রাখিয়াছিল। কিন্তু সেই জায়গ! খুলিতে খুলিতে মে অন্য এক জায়গা খুলিয়া ফেলিল। তখন পূর্ধ্দিনের ন্বপ্রের কথ! মনে পড়িয়া যাওয়ায় সে সেই কথাই বসিয়া বসিয়। ভাবিতে লাগিল। হঠাৎ যেন পিছন হইতে কোন লোকের পায়ের শব কানে আসিল । মার্টিন ফিরিয়া তাকাইল, মনে হইল যে অন্ধকার কোণে কে একজ্জন ধাড়াইয়। রহিয়াছে ।