ঠিক বুবিতে পারিল না কে! তখন সে যেন তার কানে কানে বলিল--“তৃমি কি আমায় চেন ন1 মার্টিন ?”
মার্টিন খুব আস্তে আস্তে বলিল-_-“কে ?”
“আমি” বলিয়া ষ্রেপানিচ মদ্ধকারের ভিতর হইতে বাহির হইল এবং একটু হাসিয়া চলিয়া গেল।
মার্টিন আবার শুনিতে পাইল, «“আমি”। এবারে যেন সেই আশ্রয়হীন স্ত্রীলাকটি ছেলে কোলে করিয়া আসিল। তারাগ একটু হাপিয়া চলিয়া! গেল।
আবার শুন! গেল, “আমি” । এবারে সেই বৃদ্ধা ও আতা হাতে করিয়া সেই বালকটি বাহির হইয়া! আসিল। তারাও হাসিয়। চলিয়া গেল ।
মার্টিনের প্রাণটা আনন্দে ভরপৃর হইয়া উঠিল। সে চশমা তুলিয়া কানে দিয়া বাইবেলের যেখানট। হঠাৎ খুলিয়া গিয়াছিল সেই খানটাই পড়িতে লাগিল। সেই পাতার উপরের দিকে পড়িল-_ “আমি ক্ষুধিত হইয়াছিলাম--তুমি আমায় খাইতে দিয়াছ, আমি তৃষিত হইয়াছিলাম-_তুমি মামায় পানীয় দিয়াছ, আমি অচেন! ছিলাম--তুমি আমায় আদর করিয়া ডাকিয়াছ।”
সেই পাতার নিষ্মে পড়িল,
«“এই ভাইদের সেবা করিয়া তুমি আমারই সেব! করিয়াছ।”
এবার মার্টিন বুঝিল যে, তার স্বপ্ন সফল হইয়াছে, সত্য সত্যই মুক্তিদাতা। ভগবান্ সেই দিন তার কাছে আসিয়াছিলেন, আর সেও তাঁকে বরণ করিয়াছে।