পাতা:টল্‌ষ্টয়ের গল্প - দুর্গামোহন মুখোপাধ্যায়.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষ বাঁচে কিসে?

—১—

সাইমন নামে এক মুচী ছিল । তার বাড়ী-ঘর, জমা-জমি কিছুই ছিল না; স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়ে লইয়া এক কুষকের কুঁড়েঘরে সে বাম করিত। দিন-রাত্রি খাটিয়া জীবিকা নির্র্বাহ করিত ; কাজেই তার অবস্থা 'দিন আনে দিন খায়'। খুব খাটিয়াও যথেষ্ট মজুরী পাইত না, কিন্তু জিনিষ-পত্র সবই ছুশ্মলয। তার এবং তার স্ত্রী শীতকালের গায়ে দিবার জন্য মাত্র একট গাঁটার চামড়ার জাম! ছিল, তাও একেবারে শতছিন্ন। বহুদিন ধরিয়াই তাব ইচ্ছ! ছিল, ভেড়ার চামড়া! কিনিয়া খুব ভাল করিয়া একটি নৃতন জামা তৈয়ার করিবে; কিন্তু আর হইয়। উঠে নাই। সে কিছু টাকা জমাইয়াছিল। তার স্ত্রীর বাক্সের ভিতরে তিন টাকার নোট একটি লুকানো ছিল; আর প্রায় সাড়ে পাঁচ টাক! সে গ্রাহকদের কাছে পাইত।

একদিন ভেড়ার চামড়া কিনিবার জন্য সে প্রস্তুত হইল । সার্ট গায়ে দিল, তার উপরে তার স্ত্রীর জ্যাকেট! পরিল এবং তার উপরে সেই পাঁটার চামড়ার ছেড়া জামাটা চাপাইয়া দিল। তিন টাকার নোটখানি পকেটে পুরিল। সকাল সকাল কিছু খাইয়া একটা লাঠি হাতে করিয়া গ্রামে বাহির হইল। ভাবিল, "গ্রাহকদের কাছে যে পীচ টাকা পা"ব সেটা প্রথমে আদায় করব; তার সঙ্গে এই তিন টাকা হলেই ভেড়ার চামড়া বেশ কিন্তে পার্ব।”

গ্রামের ভিতরে ঢুকিয়াই সে এক কৃষকের বাড়ী গেল, কিন্ত