পাতা:টল্‌ষ্টয়ের গল্প - দুর্গামোহন মুখোপাধ্যায়.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
‌টল্‌স্টয়ের গল্প
২৩

কৃষক তখন বাড়ী ছিল না। তার স্ত্রী বলিল যে, পরের সপ্তাহে স দেনা শোধ কর! হইবে । সাইমন আর কি করিবে? সেআর এক কৃষকের বাড়ী গেল। ইহার একজোড়া বুট জুত1 সাইমন মেরামত করিয়। দিয়াছিল ; কিন্তু কৃষক একেবারে দিব্যি গালিয়া বলিল যে, তার হাতে কিছুই নাই, তবে তিন-চারি আন! মাত্র সে দিতে পারে। নিরুপায় হইয়া সাইমন ধারে চামড়া কিনিতে গেল ; কিন্ত দোকানদার ধারে বিক্রী করিতে নারাজ হইল ; বলিল--“নগদ টাকা নিয়ে এসো ; তার পরে যেখানা তোমার দেখে-শুনে পছন্দ হয় নিয়ে যাবে। বাকী-টাকা আদায় করা যেকি ঝকৃমারী তা আমাদের বিলক্ষণ জানা আছে।” চামড়া আর সাইমনের কেনা হইল না। সেই চাষার কাছ থেকে তিন-চারি আনা আদায় করিল । আর একজন চাষা মেরামত করিবার জন্য একজোড়া বুট দিল। সাইমন তাই লইয়! বাড়ীর দিকে আস্তে আস্তে চলিল । সাইমনের মনট] মুস্ড়াইয়া৷ পড়িল। তিন-চারি আনার পয়স! পথে মদ খাইয়াই উড়াইয়। দিল। শুধু হাতেই সে বাড়ীর দিকে চলিল। সকালবেল। বাহিরে ঘুরিয়া ঘুরিয়া তার খুব ঠাণ্ড। লাগিয়া- ছিল, হাত-পা কন্কন্‌ করিতেছে ; মদ খাইয়া ঠাণ্ডাটা একটু কমিয়া গেল, শরীরটা বেশ গরম বোধ হইল, মনেও একটু স্ফুত্তি জমিল ! মাটিতে লাঠিটা ঠক্ঠক্‌ করিয়া! ঠুকিতে ঠুকিতে, আর বাঁ-হাতে বুট জোড় দোলাইয়া বিড়, বিড়, করিতে করিতে সে চলিল। “ভেড়ার চামড়ার জাম! গায়ে দেবো সত্যি, কিন্তু আমার বেশ গরম বোধ হচ্ছে। ফোটা খানেক খেয়েছি বই ত নয়; কিন্তু তাই আমার সমস্ত শিরার ভেতরে গিয়ে শরীরটাকে বেশ গরম ক'রে