ছিল না। এটা কি একটা ষাঁড়? ষাঁড়ের মত ত নয়, ঠিক মানুষের মতই এর মাথাটা, কিন্ত বড্ড সাদা সাদা; আর মানুষই বা এখানে কি কর্বে?’
ক্রমশঃ আরও নিকটে গিয়া সে পরিষ্কার দেখিতে পাইল একট মানুষ—সেটা জীবিত কি মৃত বুঝিতে পারিল না, উলঙ্গ অবস্থায় মন্দিরে ঠেস্ দিয়া বসিয়া আছে। দেখিয়া তার ভয়ানক ভয় হইল, ভাবিল, ‘ওকে কেউ খুন ক’রে টাকা-পয়সা সব কেড়ে নিয়ে এখানে ফেলে চ'লে গেছে। যাক্, এতে হাত দিলেই বিপদে পড়ব নিশ্চয়।’
লোকটাকে যাতে আর দেখা না যায় সেইজন্য সাইমন মন্দির পেছনে রাখিয়া চলিতে লাগিল; খানিক দূর গিয়া একবার পেছনের দিকে ফিরিয়া চাহিল, দেখিল যে সেই লোকটি আর দেওয়ালে ঠেস্ দিয়া বসিয়া নাই, সে যেন তারই দিকে তাকাইয়া নড়িতেছে।
সাইমনের পূর্ব্বের চেয়েও এবার ভয় আরও বেশী হইল, ভাবিল, ‘আবার ফিরে ওর কাছে যাব, না চল্তেই থাক্ব? ওর কাছে গেলে হয়ত একটা ভয়ানক কাণ্ড হবে। কে জানে ও কে এবং কি রকমের লোক? ও কখনও ভালর জন্যে এখানে আসে নি। যদি কাছে যাই, ও লাফিয়ে পড়ে আমার টু’টিটা টিপে ধর্তে পারে, তা হ’লে ত আমার আর রক্ষাই থাক্বে না। যদি তা না করে, যদি তেমন একট সাংঘাতিক কাণ্ড নাও ঘটে, হয়ত আমার ওপরে সে একটা গলগ্রহ হবে। একটা ন্যাংটা মানুষ, তাকে নিয়ে কি কর্ব?
আমার সম্বলের ভেতরে ত একটা শতছিন্ন জামা, এ আমি কিছুতেই দিতে পার্ব না! ঈশ্বর ভরসা, এবার পালাতে পার্লে বেঁচে যাই।’