সাইমন ত ওখান থেকে খুব তাড়াতাড়ি চলিতে লাগিল। মন্দির রহিল তার পিছনে; কিন্তু যাইতে যাইতে তার মনটা কেমন করিয়া উঠিল, তার বিবেক তাকে দংশন করিল, সে অমনি থমকিয়া দাঁড়াইল।
সে নিজে নিজে বলিতে লাগিল--“কি কর্ছ তুমি, সাইমন? লোকটা হয়ত অভাবের তাড়নায়, খেতে না পেয়ে, পর্তে না পেয়ে, মারা যাচ্ছে; আর তুমি তাকে খেয়ে পাশ কাটিয়ে চলে এসেছ? তুমি এমন কি বড় মানুষ হয়েছ যে, তোমার আবার চোর-ডাকাতের ভয়? ছিঃ ছিঃ সাইমন; তোমায় ধিক্।”
সাইমন ফিরিয়া! লোকটার কাছে আসিল।
—২—
লোকটির কাছে গিয়া সাইমন বেশ নজর করিয়া চাহিয়া দেখিল যে, সে যুবক, কাজকম্ম করিবার মত শক্তি তার আছে, গায়ে কোন-স্থানে ক্ষতের চিহ্ন নাই, শীতে ও ভয়ে আড়ষ্ট হইয়া মন্দিরে ঠেস্ দিয়া চুপ করিয়া বসিয়া আছে। তাকে এতই দুর্বল বলিয়া মনে হইতেছিল, যেন সে চোখ তুলিয়া চাহিতেও পারিতেছিল না। সাইমন তার একেবারে কাছে গিয়া দাঁড়াইল। লোকটির যেন তখন একটু হুঁস্ হইল। সে যেন সাইমনের দিকে মাথাটি ফিরাইয়া একবার চাহিয়া দেখিল। সেই একটি চাউনিতেই সাইমন তাঁকে ভালবাসিল। তৎক্ষণাৎ সে তার বুট জুতা জোড়া মাটিতে ছুড়িয়া ফেলিল, কোমরের বেল্ট খুলিল এবং সুতার জামাটা খুলিল।
সে বলিল—“দেখ, এটা বাজে কথার সময় নয়। নাও, এই জামাটা চট ক’রে গায়ে দাও।” ইহা বলিয়াই সাইমন লোকটার হাত