লোকটি বেশ স্বচ্ছন্দেই চলিতে আরম্ভ করিল; সে সাইমনের পেছনে একবারও পড়ে নাই।
পথে যাইতে যাইতে সাইমন তাকে জিজ্ঞাসা করিল—“আচ্ছা! বল দেখি তোমার বাড়ী কোথায় ?”
—“এ অঞ্চলে নয়।”
—“আমারও তাই মনে হচ্ছিল। এ অঞ্চলের যত লোক—সবই আমার চেনা। কি করে এ মন্দিরের কাছে এসে পড়্লে বল ত?”
—“বল্তে পারি না”
—“তোমার ওপরে কেউ কোন অত্যাচার করেছে?”
—“না, কেউ অত্যাচার করে নি। ভগবান আমাকে শাস্তি দিয়েছেন।”
—“হ্যাঁ, তিনি ত আমাদের সকলেরই শাসন-কর্ত্তা! শাস্তি পেলেও তোমাকে কোনখানে আশ্রয় নিয়ে খাবার-দাবার চেষ্টা করতে হবে ত?”
—“কি আর কর্ব? আমার কাছে সবই সমান।”
সাইমন বিস্মিত হইল। লোকটা বদ্মায়েস বলিয়া তার মনে হইল না, তার কথাবার্ত্তাও ভদ্রলোকের মত; অথচ নিজের পরিচয় সে কিছুই দিতেছে না। সে ভাবিল—কে জানে ওর কি হয়েছে! পরে লোকটিকে বলিল—“আচ্ছা, তা হলে আমার সঙ্গে আমার বাড়ীতেই এসো, আর কিছু হোক্ বা না হোক্ খানিকক্ষণ থেকে শরীরটাকে একটু গরম-সরম করে নেবে।”
সাইমন বাড়ীর দিকে চলিল, লোকটিও সঙ্গে সঙ্গে চলিল। তখন খুব বাতাস বহিতেছিল, সাইমনের খুব শীত করিতে লাগিল; বিশেষতঃ তার মদের নেশা তখন প্রায় ছুটিয়া যাওয়ায় শীতটা সে