পাতা:টল্‌ষ্টয়ের গল্প - দুর্গামোহন মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
‌টল্‌স্টয়ের গল্প

ম্যাট্রিয়ানা রুটিধানা রাখিয়া দিল এবং স্বামীর সার্টটা রিপু করিবার জন্য টেবিলে গিয়া বসিল। তার স্বামী কি রকম করিয়া গরম জামার জন্য চামড়া কিনিতেছে—রিপু করিতে করিতে সে কেবল তাই ভাবিতে লাগিল।

“আমার স্বামী নেহাৎ ভাল মানুষ—বড্ড সাদাসিদে। দোকানদার আবার তাকে না ঠকায়। একটা ছোট ছেলে পর্য্যন্ত তাকে ঠকাতে পারে; সে কিন্তু কাউকে ঠকায় না। আটটা টাকা ত আর কম নয়! ও দামে ত খুব ভাল জামা পাওয়া উচিত। পাক চামড়া না হ'লেও বেশ দস্তুরমত গরম জামা পাওয়া যাবে। গেল বার শীতকালে গরম জামার অভাবে কি ভয়ানক কষ্টটাই পেয়েছিলুম। না যেতে পার্‌তুম নদীর ঘাটে না পার্‌তুম বাইরে যেতে। আমাদের যা কাপড়-জাম। ছিল, তা আমার স্বামীই গায়ে দিয়ে বেরুত; আমি আর কিছু গায়ে দিতে পেতুম না। যাক্‌গে; আজকে অবিশ্ খুব ভোরে সে বেরোয় নি, তবুও এখন তার ফিরে আসার সময় হ'য়েছে। দেরী দেখে ভয় হচ্ছে হয়ত মদের ভাটিতে গিয়ে ঢুকেছে।’

 ম্যাট্রিয়ানা এই কথাগুলি ভাবিতেছে, ঠিক সেই সময়েই দরজায় পায়ের শব্দ শুনিতে পাইল। কে যেন ভিতরে ঢুকিল। হাতের সুচটি একটা ফোড় দিয়া রাখিয়া সে বাহিরে দেখিতে গেল। গিয়া দেখিল দুইজন লোক; সাইমন আর তার সঙ্গে আর একজন—তার পায়ে বুট, মাথায় টুপী নাই!

 সাইমনের মুখ থেকে মদের গন্ধ বাহির হইতেছে—ম্যাট্রিয়ানা তৎক্ষণাৎ বুঝিতে পারিল। সে ভাবিল, “এই ত ও মদ খাচ্ছিল। তারপর সে যখন দেখিল যে সাইমনের গায়ে কোট নাই—কেবল