পাতা:টল্‌ষ্টয়ের গল্প - দুর্গামোহন মুখোপাধ্যায়.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২ টল্স্টয়ের গল্প তিন বছরের ছেলে ছাড়া সংসারে আর কেহই তার ছিল নাঁ_ স্ত্রী পুত্র সবই ছিল বটে, কিন্তু একে একে সব কয়টিকেই যমের মুখে দিয়াছিল।

প্রথমে মার্টিন মনে করিয়াছিল যে, এই ছেলেটিকে তার ভগিনীর কাছে রাখিবে, কিন্তু ছেলেকে ছাড়িয়া থাকিতে হইবে ভাবিয়া ভার মন কেমন করিতে লাগিল। সে ভাবিল, “ক্যাপিটন আমার বড্ড ছোট, একটি অপরিচিত পরিবারের ভেতর ওর থাকৃতে ভয়ানক কষ্ট হবে। ওকে আমি আমার কাছেই রাখব ।,

তার মনিবের কাজ ছাড়িয়া দিয়। ছোট ছেলেটিকে লইয়। মার্টিন বসিয়া রহিল। কিন্তু ছেলে-মেয়ে লইয়া সুখে থাকা তার অপৃষ্টে ছিল না। ছেলেটি বেশ বড় হইয়াছে, মার্টিনকে সাহায্য করিবার উপযুক্ত হইয়া উঠিয়াছে, মার্টিনের শেষ-বয়সের আশা-ভরসা হইয়া দাড়াইয়াছে, এমন সময়েই ভার ব্যারাম হইল । এক সন্তাহকাল ভয়ানক জ্বরে কষ্ট পাইয়। ছেলেটি মরিয়া গেল। মার্টিন নিজেই ছেলেটিকে কবর দিয়া আমিল। সে এতই ভাঙ্গিয়া পড়িল ষে, ভগবানে বিশ্বান হারাইতে বসিল। এই বুড়ো বয়সে তার নিজের মৃত্য হইল না! সবে একটি ছেলে, সেও গেল! অত্যন্ত কাতর হয়া সে আকুলপ্রাণে প্রার্থনা করিতে লাগিল তার যেন মৃত্যু হয়। ইহার পর সে গীর্জায় যাওয়া বন্ধ করিল।

একদিন মার্টিনের গ্রামস্থ একজন বৃদ্ধ ট্রয়েটসার মঠ হইতে ফিরিবার সময়ে মার্টিনের কাছে আসিলেন। তিনি গত আট বৎসর তীর্থ করিয়া বেড়াইতেছেন। সেই বৃদ্ধের সঙ্গে মার্টিনের কথাবার্তা চলিল। মার্টিন প্রাণ খুলিয়া সব কথা বলিল, নিজের মনের ব্যথ। তাকে জানাইল।