পাতা:টুনটুনির বই.djvu/৫১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

 তখন ছুতোর এসে পিঁড়ি কেটে রাজামশাইকে ছাড়ালে, আর তক্তপোশ কেটে সভার লোকদের ছাড়ালে। একটু একটু কাঠ তবু সকলের গায়ে লেগে ছিল, সেটুকু চেঁচে তুলে দিল।

 রানীর হাতের থালা, দাসীর হাতের কুলো আর রাখালের হাতের লাঠিও কেটে ফেলে দেওয়া হল।


পান্তাবুড়ীর কথা



এক যে ছিল পান্তা বুড়ী, সে পান্তাভাত খেতে বড্ড ভালোবাসত।

 এক চোর এসে রোজ পান্তাবুড়ীর পান্তাভাত খেয়ে যায়, তাই বুড়ী লাঠি ভর দিয়ে রাজার কাছে নালিশ করতে চলল।

 পান্তাবুড়ী পুকুর ধার দিয়ে যাচ্ছিল। একটা শিঙিমাছ তাকে দেখতে পেয়ে বললে, ‘পান্তাবুড়ী, কোথায় যাচ্ছ?’

 পান্তাবুড়ী বললে, ‘চোরে আমার পান্তাভাত খেয়ে যায়, তাই রাজার কাছে নালিশ করতে যাচ্ছি!’

 শিঙিমাছ বললে, ‘ফিরে যাবার সময় আমাকে নিয়ে যেও, তোমার ভালো হবে।’

 পান্তাবুড়ী বললে, ‘আচ্ছা।’

 তারপর পান্তাবুড়ী বেলতলা দিয়ে যাচ্ছে। একটা বেল মাটিতে পড়ে ছিল, সে বললে, ‘পান্তাবুড়ী, কোথায় যাচ্ছ?’

 পান্তাবুড়ী বললে, ‘চোরে আমার পান্তাভাত খেয়ে যায়, তাই রাজার কাছে নালিশ করতে যাচ্ছি।’

 বেল বললে, ‘ফিরে যাবার সময় আমাকে নিয়ে যেও, তোমার ভালো হবে।’

 পান্তাবুড়ী বললে, ‘আচ্ছা।’

 তারপর পান্তাবুড়ী পথের ধারে খানিকটা গোবর দেখতে পেলে। গোবর বললে, ‘পান্তাবুড়ী, কোথায় যাচ্ছ?’

 পান্তাবুড়ী বললে, ‘চোরে আমার পান্তাভাত খেয়ে যায়, তাই রাজার কাছে নালিশ করতে যাচ্ছি।’

 গোবর বললে, ‘ফিরে যাবার সময় আমাকে নিয়ে যেও, তোমার ভালো হবে।’

 পান্তাবুড়ী বললে, ‘আচ্ছা।’

৪৭