পাতা:টুনটুনির বই.djvu/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

শিঙিমাছ। সে চোরের বাছাকে এমনি কাঁটা ফুটিয়ে দিল যে তার দুই চোখ দিয়ে জল পড়তে লাগল।

 শিঙিমাছের খোঁচা খেয়ে চোর কাঁদতে-কাঁদতে উনুনের কাছে গেল। তার ভিতরে ছিল বেল। চোর যেই আঙুলে তাত দেবার জন্য উনুনে হাত ঢুকিয়েছে, অমনি পটাশ করে বেল ফেটে, তার চোখেমুখে ভয়ানক লাগল।

 তখন সে ব্যথা আর ভয়ে পাগলের মতো হয়ে, যেই ঘর থেকে ছুটে বেরুবে অমনি সেই গোবরে তার পা পড়েছে। তাতে সে পা হড়কে ধপাস করে সেই গোবরের উপরেই বসে পড়ল।

 তারপর গোবর লেগে ভূত হয়ে, বেটা গিয়েছে ঘাসে পা মুছতে। সেইখানে ছিল ক্ষুর, তাতে ভয়ানক কেটে গেল। তাতে আর ‘ও মাগো! গেলুম গো।’ বলে না চেঁচিয়ে বাছা যান কোথায়?

 তা শুনে পাড়ার লোক ছুটে এসে বললে, ‘এই বেটা চোর! ধর বেটাকে! মার বেটাকে! কান ছিঁড়ে ফেল!’

 তখন যে চোরের সাজাটী!


চড়াই আর কাকের কথা



কাক আর চড়াইপাখিতে খুব ভাল ছিল।

 গৃহস্থদের উঠানে চাটাই ফেলে ধান আর লঙ্কা রোদে দিয়েছে। চড়াই তা দেখে কাককে বললে, ‘বন্ধু, তুমি আগে লঙ্কা খেয়ে শেষ করতে পারবে, না, আমি আগে ধান খেয়ে শেষ করতে পারব?’

 কাক বললে, ‘আমি লঙ্কা আগে খাব।’

 চড়াই বললে, ‘না, আমি ধান আগে খাব।’

 কাক বললে, ‘যদি না খেতে পার, তবে কি হবে?’

 চড়াই বললে, ‘যদি না খেতে পারি, তবে তুমি আমার বুক খুঁড়ে খাবে। আর যদি তুমি না খেতে পার, তবে কি হবে?’

 কাক বললে, ‘তুমি আমার বুক খুঁড়ে খাবে।’

 এই বলে তো দুজনে ধান আর লঙ্কা খেতে লাগল। চড়াই কুট-কুট করে এক-একটি ধান খায়, আর কাক খপ-খপ করে এক-একটি লঙ্কা খায়। দেখতে-

৫০